কুবি শিক্ষার্থী সাংবাদিক ইকবালের বহিষ্কারাদেশ হাইকোর্টে স্থগিত
উপাচার্যের বক্তব্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধি ও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ইকবাল মনোয়ারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেওয়া বহিষ্কারাদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১৪ আগস্ট) বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি মো: আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন। বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিটের ওপর শুনানিতে এই আদেশ দেন হাইকোর্ট।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেছেন ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান গণমাধ্যমকে আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বহিষ্কার আদেশ ৬ মাসের জন্য স্থগিত, কোনো কারণে তাকে বহিষ্কার করতে পারবে না। একইসাথে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রিটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, ইউজিসি চেয়ারম্যান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি), উপ-উপাচার্য (প্রো ভিসি), রেজিস্টার, প্রক্টর, জনসংযোগ কর্মকর্তা এবং মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যানকে বিবাদীদেরকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ আট জনকে লিগ্যাল (আইনি) নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।
গত বুধবার (০৯ আগস্ট) ইকবাল মনোয়ারের পক্ষে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান। এতে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চাওয়া হয়। নোটিশ অনুযায়ী তিনদিনের মধ্যে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না করায় সংবিধানের ১০২ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী উচ্চ আদালতে বহিষ্কারাদেশকে চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই উপাচার্যের বক্তব্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় ০২ আগস্ট সাংবাদিক সমিতির অর্থ সম্পাদক ও দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধি ইকবাল মনোয়ারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে।
সারাদিন/১৪ আগস্ট/এমবি