অফিসে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতেই হয়
অফিস, সবার খুবই পরিচিত একটা জায়গা। যেখানে আপনার দিনের বেশিরভাগ সময়ই কাটে বলা চলে। এই জায়গাটিতেই অন্যান্য সহকর্মীদের সাথে কাটাতে হয় তাদেরকে। এই অফিস সহ চলার পথে সবখানেই মাথায় রেখে চলতে হয় কিছু ব্যাপার, কিছু আদবকেতা। সব মিলিয়ে আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা থাকতেই পারে। তবে তা যেন অন্যের কাছে হাস্যকর বা বিরক্তিকর না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আর এই সাধারণ ভদ্রতা বা এটিকেটগুলো মেনে চলা সবারই উচিত।
যখন অফিসে থাকবেন
মনে রাখবেন আপনি যেখানে থাকুন না কেন- প্রথমেই নিজের আচরণ সংযত রাখতে হবে। সেটা হোক অফিস কিন্তু চলার পথে।
এরপর অফিসে যদি কোনো বিষয়ে মতবিরোধ হতে পারে; হলেও উত্তেজিত হওয়া যাবে না। এটা খারাপ স্বভাব।
অনেকে আমরা অফিসের শৃঙ্খলা মানতে চান না; বড় মনে করেন। এটা ঠিক না; সব ধরনের শৃঙ্খলা মানতে হবে।
অফিসে অনেক অনেক ধরণের মানুষ থাকতে পারে, সবার সঙ্গে মানিয়ে চলতে হবে।
অফিসে কিংবা কোনো রেস্টুরেন্টে ফোন এলে কখনোই সবার ভেতরে চিৎকার করে কথা বলা যাবে না। একটু আস্তে।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার অভাব। অফিসে টিস্যু ব্যবহার করে নির্দিষ্ট বিনে রাখার অভ্যাস করুন।
অনেকে দেখা যায় ডেস্কে বসেই খাবার খায়। না খাবেন না, বিশেষ করে পোলাও বিরিয়ানির মতো খাবার যেগুলো বেশি ঘ্রাণ থাকে। ওগুলো খাওয়া যাবে না।
অফিসে সাধারণত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার জায়গা, রাজনীতির করার জায়গা না।
সাধারণ অফিসের ভেতরে বা বাইরে গ্রুপিং করলে নিজের ক্যারিয়ারেরই বেশি ক্ষতি হতে পারে।
আরেকটি কথা- প্রতিষ্ঠান কর্মীর চেয়ে বড়, এমন কিছু করা যাবেনা যা প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ণ করে।
এছাড়াও যা মনে রাখতে হবে
পোশাকের বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মার্জিত পোশাক পড়তে হয়। মনে রাখবেন আপনার মাধ্যমেই অন্যরা আপনার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানবে। প্রতিটি কর্মীই সেই প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। নিজের সেরাটা দিতে হবে।
সবার কথার গুরুত্ব আছে। অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনার মানসিকতা থাকতে হবে।
অন্যের সিদ্ধান্তের গুরুত্ব দেওয়ার মানুষিকতা গড়ে তুলতে হবে।
আপনার বসার স্থান অর্থাৎ ডেস্ক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
সময়ের ব্যপারে গুরুত্ব দিতে হবে। ভালো ওয়ার্কাররা কখনো দেরি করে মিটিং-এ আসে না। অসুস্থ হলে ছুটি নিন
আরও আছে, ওয়াশরুম ব্যবহারে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে।
হাসতে শিখুন। যখন কথা বলবেন হাসিটা যেন সঙ্গেই থাকে।
সারাদিন. ১৯ আগস্ট