মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ, পুলিশ-শ্রমিকদের সংঘর্ষ

গাজীপুর সংবাদদাতা:গাজীপুর সংবাদদাতা:
প্রকাশিত: ২:৪৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৬, ২০২৩

গাজীপুরের মৌচাক ও কোনাবাড়ি এলাকায় বেতন বৃদ্ধির দাবিতে জুতা, ওষুধসহ পাঁচটি কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছে। আন্দোলন চালানো পোশাকশ্রমিক ও পুলিশের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

শ্রমিকরা সোমবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ৯ টা থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছে তারা, যা এখন পর্যন্ত চলমান। এতে ৫ ঘণ্টা ধরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহন চলাচলও বন্ধ রয়েছে।

এদিকে দুপুর ১ টার দিকে মৌচাক তেলিরচালা এলাকায় শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। প্রথমে শ্রমিকরা পুলিশের উপর ইটপাটকেল ছুঁড়ে, পরে পুলিশ কাঁদানো গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এ-সময় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। ভাংচুর করা হয়েছে বেশকিছু গাড়ি।

শ্রমিক ও পুলিশ সূত্র জানায়, উপজেলার তেলিরচালা এলাকার পূর্বানী গ্রুপের করিম টেক্সটাইল কারখানার শ্রমিকরা সর্বনিম্ন বেসিক বেতন ১৫ হাজার টাকা করার দাবিতে আজ (সোমবার) সকাল ৯ টায় কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এসময়ে আশপাশের লগোজ অ্যাপারেলস, হাইড্রো অক্সাইড সোয়েটার কারখানা, এপিএস অ্যাপারেলস, বে ফুটওয়ার কারখানার শ্রমিকরা তাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে। এতে ওই মহাসড়কের উভয় দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজটের। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ওই পথে চলাচলকারীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শ্রমিকদের লক্ষ্য করে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। শ্রমিকেরা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছেন। বিক্ষিপ্ত শ্রমিকেরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ৫০-৬০টি গাড়ি ভাঙচুর করেছেন। এছাড়া পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় একটি পাজেরো গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছেন।

সড়ক অবরোধের ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। অনেক যাত্রীকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।

Nagad

সকাল ৯ টা থেকে শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করলে গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা থেকে কালিয়াকৈর উপজেলার পল্লিবিদুৎ পর্যন্ত দীর্ঘ ১০/১৫ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পর থেকে জেলা পুলিশ, মেট্রোপলিটন ও শিল্প পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মইনুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের আন্দোলন চলছেই। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।