‘নির্বাচন হবে এবং সময়মতোই হবে, কেউ নির্বাচন থামাতে পারবে না’
নির্বাচন কেউ ঠেকাতে পারবে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন হবে এবং সময়মতোই হবে। কেউ নির্বাচন থামাতে পারবে না, আগেও পারেনি, এবারও পারবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সন্ত্রাসী। বিএনপি সন্ত্রাসী দল, সেটা তারা আবার প্রমাণ করেছে। সন্ত্রাসীদের কিভাবে শিক্ষা দিতে হয়, সেভাবে দিতে হবে।


মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিকেল পৌনে ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আগামী নির্বাচন ঘিরে আন্তর্জাতিক কোনো চাপ আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমন কোনো চাপ নেই যেটা শেখ হাসিনাকে দিতে পারে, এটা মাথায় রাখতে হবে। কে কি চাপ দিল, না দিল এটাতে কিছু আসে যায় না।
কোনো বিদেশি শক্তি কি আমাদের নিয়ে চোখ রাঙ্গাচ্ছে, নির্বাচন কি যথাসময়ে হবে?— এমন প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন যথাসময়ে হবে এবং সময়মতো হবে। কে চোখ রাঙ্গালো আর কে বাঁকালো এ নিয়ে আমরা কোনো পরোয়ানা করি না। দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের জন্য অনেক সংগ্রাম করেই কিন্তু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি। আর গণতন্ত্র থাকলে, নির্বাচিত সরকার থাকলে— বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকার থাকলে যে উন্নতি হয় এটা তো আপনারা বিশ্বাস করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিএনপি ২০১৩ সালে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। ২০১৩-১৪ ও ১৫— এই তিনটা বছর তাদের অগ্নিসন্ত্রাসের আক্রমণ চলেছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক বাস মালিকদের আমরা আর্থিকভাবে সহায়তা দিয়েছিলাম। যেন তারা ব্যবসা চালাতে পারে। এবারও যাদের বাস পুড়েছে তাদেরকেও সহায়তা দেওয়া হবে।’
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তারা(বিএনপি) পুলিশকে বারবার আঘাত করে। সারা দেশে ২৯ পুলিশ সদস্যকে মেরেছিল। ৫০০ এর উপর স্কুলঘর পুড়িয়ে দিয়েছিল, যেখানে আমাদের নির্বাচনের পোলিং এজেন্ট হয়েছিল। এদের মধ্যে কোনো মনুষ্যত্ববোধ নেই। এদের সঙ্গে আমরা যতই ভালো ব্যবহার করি না কেন, এদের স্বভাব কখনো বদলাবে না। এরা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদে বিশ্বাস করে। অবৈধ অস্ত্র হাতে এদের জন্ম, এরা নির্বাচন চায় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে আজ ২৩ সাল পর্যন্ত বদলে গিয়েছে বাংলাদেশ। এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। আজ আপনাদের কাছে কেউ ভিক্ষা চাইতে আসবে না। প্রত্যেকের খাবারের ব্যবস্থা, ভূমিহীনদের জায়গার ব্যবস্থা, চিকিৎসা ব্যবস্থা, শিক্ষার ব্যবস্থা ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। কেউ কাজ করলে খেতে পারে, সে ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি। আন্তর্জাতিকভাবে আমি যেখানে গিয়েছি সেখানেই সবাই বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করে। একমাত্র দুঃখে মরে যায় বিএনপি আর জামায়াত।’
প্রসঙ্গত-গত ২৫-২৬ অক্টোবর ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেইনের আমন্ত্রণে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ‘গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে’ অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। ২৭ অক্টোবর দেশে ফিরেন তিনি। সফরকালে ২৫ অক্টোবর সকালে ইসির নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ইউরোপীয় বাণিজ্য কমিশনার ভালদিস ডোমব্রোভস্কিসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে শেখ হাসিনা ইসি প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।