নভেম্বরে নতুন মজুরি চূড়ান্ত, ডিসেম্বরে বাস্তবায়ন : বিজিএমইএ
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, ন্যূনতম মজুরি বোর্ড নভেম্বরের মধ্যেই নতুন বেতনকাঠামো ঘোষণা করবে। সরকার নতুন যে বেতনকাঠামো ঘোষণা করবে, পোশাকশিল্পের সব উদ্যোক্তারা সেটিই মেনে নেব। নতুন মজুরি কাঠামো আগামী ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
মঙ্গলবার পোশাক শিল্পের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।


বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, যখন ন্যূনতম মজুরি বোর্ড কাজ করছে, নভেম্বরের মধ্যেই নতুন বেতনকাঠামো ঘোষিত হতে চলেছে, তখন আমাদের শান্ত ও নিরীহ শ্রমিকদের উস্কানি দিয়ে অশান্ত করা হচ্ছে। যদিও নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণার আগে আন্দোলন করার যৌক্তিকতা নেই। যেখানে ন্যূনতম মজুরি বোর্ড কাজ করছে এবং যে বোর্ডে শ্রমিক পক্ষ ও মালিক পক্ষ প্রতিনিধি এবং নিরপেক্ষ সদস্য রয়েছেন।
জানা গেছে, মজুরি বোর্ডে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে ১০ হাজার ৪০০ টাকার মজুরির প্রস্তাব করা হয়েছে। আর শ্রমিক সংগঠনগুলোর পক্ষে ২৩ হাজার টাকার প্রস্তাব করা হয়। আগামীকাল বুধবার আবারও নতুন করে দুই পক্ষ আলাদা আলাদা প্রস্তাব জমা দেবে। নভেম্বরের মধ্যেই বর্ধিত ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ হবে যা কার্যকর হবে ১ ডিসেম্বর থেকে।
বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী বলেন, কারখানার শ্রমিকটা কিন্তু আন্দোলন করছেন না। আন্দোলন করছে বহিরাগতরা। এটি রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার তরিকাও হতে পারে। সবার উচিত পোশাক খাতকে রক্ষা করা। কারণ এর নির্ভর করছে দেশের অর্থনীতি ও ভবিষ্যত।
এ সময় শ্রমিকরা যাতে এই আন্দোলনে সম্পৃক্ত না হয় সেই আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি শহিদ উল্লাহ আজিম এবং এস এম মান্নান কচিসহ পোশাক খাতের মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।