বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে : প্রধানমন্ত্রী

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:০৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৩, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের পরিবেশ নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধ হবার এবং সতর্ক থাকার জন্য তাঁর দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং মানুষের ভোটের অধিকার যা অনেক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত সেই অধিকার যাতে নিশ্চিত থাকে, মানুষ যেন তার ভোট শান্তিপূর্ণভাবে দিতে পারে- সেই পরিবেশ রাখতে হবে।

আজ শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণসভায় সভাপতির ভাষণে এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচাল করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্রের পেছনে অনেকের হাত রয়েছে এবং তারা অনেক উপায়ে চেষ্টা করবে। আমাদের শক্তি হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ। নির্বাচনে আসলে ক্ষমতায় যেতে পারবে না ভেবে নেতৃত্ববিহীন দল বিএনপি সারাদেশে সন্ত্রাস-নৈরাজ্য-জ্বালাও-পোড়াও করতে মেতে উঠেছে।

তিনি আরো বলেন, ‘জাতির পিতা যে আদর্শ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন, জাতীয় চার নেতা জীবন দিয়েছেন, সেই আদর্শ নিয়েই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। ওই সমস্ত দুষ্কৃতিকারী কয়েকজনের লাফালাফি এদেশে কোনোদিনও নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না। এই দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না। ওরা জানে (বিএনপি) যে নির্বাচন করলে ক্ষমতায় আসতে পারবে না।

২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা ৩০০ সিটের মধ্যে মাত্র ৩০টি সিট পেয়েছিল। আর ওদের অপকর্মের জন্য মানুষ তো আরো ওদের প্রতি বিমুখ।’
বিএনপি আসলে সিট পাবে না দেখে নির্বাচন করবে কিনা সন্দেহ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আর নির্বাচনে আসলেও আসবে ওই নমিনেশন বাণিজ্য করার জন্য। তারা নির্বাচন কাকে নিয়ে করবে? নির্বাচন করলে ওদের নেতা কে? কাকে প্রধানমন্ত্রী করবে? কাকে দিয়ে মন্ত্রিসভা করবে? বিএনপির চেয়ারপারসন (খালেদা জিয়া) এতিমের অর্থআত্মসাতের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত।’

তিনি বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার সাজাপ্রাপ্ত, মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায়ে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।

Nagad

সে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আর রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে দেশ থেকে পালিয়ে যায়। শোনা যায়, লন্ডনে বসে জুয়া খেলে নাকি কোটি কোটি পাউন্ড কামাই করে। এটাই তার সোর্স অব ইনকাম। আর সেখানে বসে তাঁর করে দেওয়া ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নিয়ে জ্বালাও পোড়াওয়ের নির্দেশ দেয়।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, দলের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম ও তাজউদ্দিন আহমেদের কন্যা সিমিন হোসেন রিমি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দলের কার্যনির্বাহী সদস্য এবং হবিগঞ্চ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী, সৈয়দ নজরুল ইসলাম কন্যা ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মান্নাফী ও উত্তর সভাপতি শেখ বজলুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। সূত্র : বাসস