আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:১৩ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ৫, ২০২৩

কর্মসূচিতে বৈচিত্র্য খুঁজছে বিএনপি

আন্দোলন কর্মসূচিতে কিভাবে এবং কী ধরনের বৈচিত্র্য আনা যায় তা নিয়ে ভাবছে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। টানা অবরোধ বা হরতাল পালন করলে মানুষের মধ্যে একঘেয়েমি তৈরি হতে পারে। কর্মীদের মধ্যে আসতে পারে শৈথিল্য। আবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে-পরে কর্মসূচি তীব্রতর করতে চায় দলটি। তাই এসব কর্মসূচির পাশাপাশি আর কী করা যায়, তা নিয়ে ভাবতে বলা হয়েছে বর্তমানে সক্রিয় আছেন এমন নেতাদের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতা এ তথ্য জানিয়েছেন।গত সপ্তাহে হরতাল-অবরোধের পর আজ রবিবার ভোর থেকে বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলোর ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হচ্ছে। এরপর এক দিন বিরতি দিয়ে বুধ ও বৃহস্পতিবার হরতাল কিংবা অবরোধ দিতে পারে দলটি।এর পরের সপ্তাহে কী কর্মসূচি দেওয়া যায়, তা নিয়ে ভাবছেন নীতিনির্ধারকরা। তবে অবরোধে মিছিলের পাশাপাশি পিকেটিং বাড়াতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

রাজধানীতে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
এবারও নৌকা জিতবে
কানা-খোঁড়া বা যাকেই মনোনয়ন দেব বিজয়ী করবেন ♦ ষ যে হাতে আগুন দেবে সেই হাত আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিতে হবে ♦ ষ কারখানা ভাঙচুর করলে রুটিরুজির পথ বন্ধ হবে ♦ ষ মেট্রোরেল ঢাকাবাসীর জন্য উপহার, এখন পাতালরেল করব

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী নির্বাচনের তফসিল যে কোনো সময় ঘোষণা করা হতে পারে। নির্বাচনে কানা, খোঁড়া বা যাকেই প্রার্থী দিই তাকেই ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন। এবার নৌকা জিতবেই। গতকাল বিকালে এমআরটি লাইন-৬-এর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চালু এবং এমআরটি লাইন-৫ নর্দান রুটের (সাভার-ভাটারা) নির্মাণকাজ উদ্বোধন করে আরামবাগে এক বিশাল জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা বিভাগীয় আওয়ামী লীগ এ জনসভার আয়োজন করে।দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আবারও যেন আমরা এ দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারি। এখনো অনেক উন্নয়নকাজ বাকি। সেগুলোও যেন শেষ করতে পারি। কারণ অগ্নিসন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদীরা ক্ষমতায় এলে এ দেশটাকে টিকতে দেবে না। সেজন্যই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আগুনসন্ত্রাস কীভাবে বন্ধ করতে হয় জানা আছে : বিএনপির ডাকা হরতাল-অবরোধে আগুনসন্ত্রাসের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জ্বালাও-পোড়াও আর ধ্বংস করাই বিএনপির চরিত্র। তাদের আন্দোলন অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ খুন করা। এ আন্দোলন বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় কীভাবে বন্ধ করতে হয় তা আমাদের জানা আছে। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি মানেই ধ্বংস। ২৮ অক্টোবর তারা রাস্তায় পিটিয়ে পুলিশ হত্যা করল, আওয়ামী লীগ ও মহিলা লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করল। এটাই কি রাজনীতি? অথচ পুলিশ সেদিন যথেষ্ট সহনশীলতা দেখিয়েছে। দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আগুন দিয়ে পোড়াবে তাদের প্রতিরোধ করতে হবে। দরকার হলে তাদের ধরে ওই আগুনের মধ্যে ফেলতে হবে। যে হাত দিয়ে আগুন দেবে সেই হাত আগুনে পুড়িয়ে দিতে হবে। তা হলেই তাদের শিক্ষা হবে। সরকারপ্রধান বলেন, তারা সাধারণ মানুষের বাসে আগুন দেয়, গাড়িতে আগুন দেয়। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে ১১টি দলের অসন্তোষ

নির্বাচন কমিশন (ইসি) আয়োজিত সংলাপে অন্তত ১১টি দল নির্বাচনের বিদ্যমান পরিবেশ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে কেউ কেউ আবার পরিবেশ সৃষ্টির আগে তপশিল ঘোষণা স্থগিত রাখারও পরামর্শ দিয়েছে। তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, পরিবেশ অনুকূল বা প্রতিকূল যা-ই হোক না কেন, নির্বাচন আয়োজনের বিকল্প তাদের সামনে নেই। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার প্রস্তুতি নিয়ে নিবন্ধিত ৪৪ রাজনৈতিক দলকে গতকাল শনিবার আমন্ত্রণ জানানো হলেও অংশ নিয়েছে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ২৬টি দল। এ আলোচনায় অংশ নেয়নি বিএনপি, সিপিবিসহ ১৮টি দল। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত এ আলোচনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কমিশনারদের উপস্থিতিতে সকালে ১৩টি দল এবং বিকেলে আরও ১৩টি দল অংশ নেয়। এ সংলাপে দু’পর্বে ভাগ করে ২২টি করে দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন হবে, বিএনপিকে ভোটে আসার আহ্বান জানিয়ে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনের পরিবেশটা অনুকূল নয়, কিছু কিছু দল এখনও অংশ নিতে পারছে না। আমরা সেটা স্বীকার করেছি। সূত্র: সমকাল

Nagad

অবরোধের শুরুতে সিলেটে বিক্ষিপ্ত পিকেটিং, চলছে না দূরপাল্লার বাস

বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর দ্বিতীয় দফার ৪৮ ঘণ্টার সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের প্রথম দিনে আজ রোববার সকাল থেকে সিলেটে বিক্ষিপ্ত পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া গেছে। আজ সকাল সোয়া ৯টা পর্যন্ত দূরপাল্লার কোনো যাত্রীবাহী বাস সিলেট ছাড়েনি। নগরেও তুলনামূলকভাবে যান চলাচল কম। এর ফলে কর্মস্থলমুখী যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপি এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ১৫ থেকে ২০ জন নেতা-কর্মী ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের লালাবাজার ভরাউট এলাকায় আসেন। তাঁদের অনেকে মুখ ছিল গামছা দিয়ে বাঁধা এবং মাথায় ছিল হেলমেট। নেতা-কর্মীরা ইট আর ইটের টুকরা বিছিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। ৩০ মিনিট তাঁরা সেখানে অবস্থান নিয়ে সরকারবিরোধী নানা স্লোগান দেন। পরে তাঁরা সরে যান। সূত্র: প্রথম আলো

নির্বাচনের প্রস্তুতি ও একদফা আন্দোলন
কৌশলী রাজনীতিতে দুদল
রাজপথের নিয়ন্ত্রণ, নির্বাচনসহ নানামুখী প্রস্তুতি আওয়ামী লীগের * আন্দোলন সফল ও মামলা-হামলা মোকাবিলায় নানা উদ্যোগ বিএনপির

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে উত্তপ্ত দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন। নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে ভিন্ন ভিন্ন কৌশল নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। ক্ষমতাসীনদের টার্গেট-সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন এবং বিএনপির আন্দোলন মোকাবিলা করা। অন্যদিকে সরকার পতনের একদফা আন্দোলন সফল করতে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি পরিস্থিতি বুঝে বিভিন্ন কৌশল নিচ্ছে। দুদলের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে এসব তথ্য।আওয়ামী লীগ যেসব পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে, এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-রাজপথ নিয়ন্ত্রণ, নির্বাচনের নানা প্রস্তুতিসহ নির্বাচনি জনসভা, ইশতেহার প্রণয়ন, বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জনসাধারণের কাছে তুলে ধরা, কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠন এবং কর্মিসভার আয়োজন।অপরদিকে তফশিল ঘোষণার আগেই চূড়ান্ত আন্দোলনে নেমেছে বিএনপি। এরই অংশ হিসাবে হরতাল, তিন দিন অবরোধের পর আজ থেকে আবারও ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হচ্ছে। এরপর টানা আরও কঠোর কর্মসূচির পরিকল্পনা করেছে দলটি।এছাড়া সারা দেশে টিম গঠনের পাশাপাশি মামলা-হামলা মোকাবিলায় নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। গ্রেফতার এড়ানোসহ একগুচ্ছ বার্তাও ইতোমধ্যে তৃণমূলে দেওয়া হয়েছে। সূত্র: যুগান্তর

১২ দেশে বাংলাদেশের পোশাক প্রত্যাহার

পোশাকশিল্পের জন্য দুঃসংবাদ! দেশে দেশে বাজার থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশের কারখানায় তৈরি হওয়া নানা ব্র্যান্ডের পোশাক। ‘স্বাস্থ্যঝুঁকির’ অজুহাতে এসব পোশাক বিক্রি বন্ধ করতে বাধ্য করা হচ্ছে বিক্রেতাদের। চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রসহ ১২টি দেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটেছে কানাডায়। দেশটির সরকার বাংলাদেশের কারখানায় তৈরি হওয়া জর্জ ব্র্যান্ডের ২ লাখ ১৬ হাজারের বেশি পোশাক ক্রেতাদের কাছ থেকে ফেরত নিতে বলেছে বৈশ্বিক চেইনশপ ওয়ালমার্টকে।এসব পোশাকের ব্যাপারে কানাডার স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, জর্জ ব্র্যান্ডের রাতে পরার পোশাকের জিপারের বর্ধিতাংশ ভেঙে যেতে পারে এবং পায়ের ও গলার গ্রিপ বারবার ধোয়ার ফলে চেপে যেতে পারে, যা ওই পোশাক পরা ব্যক্তির দম বন্ধ হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।গত ৩ অক্টোবর কানাডা সরকার সে দেশের সরকারি ওয়েবসাইটে এ ব্যাপারে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে এরই মধ্যে বিক্রি হয়ে যাওয়া জর্জ ব্র্যান্ডের এসব পোশাক ওয়ালমার্টে ফেরত দেওয়ার জন্য গ্রাহকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। সূত্র: আজকের পত্রিকা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ গেটে ছাত্রদলের তালা

বিএনপির ডাকা অবরোধের সমর্থনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৯টি গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। এ সময় প্রতিটি গেটে ‘দেশ রক্ষার অবরোধ সফল হোক’ লেখাসংবলিত একটি করে ব্যানার ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধের প্রথম দিন আজ রবিবার ভোররাতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে।ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল এবং সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: দেশ রুপান্তর

২০২৪ সাল
তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বেশির ভাগই অলস বসে থাকতে পারে

দেশে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার সাড়ে ২৭ শতাংশ জ্বালানি তেলভিত্তিক (ফার্নেস ও ডিজেল)। যদিও বর্তমানে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনে এ ধরনের জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সর্বোচ্চ ব্যবহার ২২ শতাংশ। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সামনের বছর এ ব্যবহার ব্যাপক মাত্রায় কমে আসবে। বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি না পাওয়া, ফার্নেস অয়েল আমদানিতে অর্থ সংকট ও উৎপাদন খরচ বিবেচনায় আগামী বছর তেলচালিত এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সিংহভাগই বসিয়ে রাখতে হতে পারে। অলস বসিয়ে রাখা হলেও এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য বিপুল পরিমাণ ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করতে হবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (বিপিডিবি)। বর্তমান প্রেক্ষাপটে উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয়বহুল এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, দেশের বৃহৎ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো এরই মধ্যে উৎপাদনে এসেছে। চাহিদা পূরণের সক্ষমতাও এখন পর্যাপ্ত। আবার আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম এখন ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় ব্যয়বহুল এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু রাখার প্রয়োজনীয়তা অনেকটাই ফুরিয়েছে। বিপিডিবির তথ্য অনুযায়ী, দেশে বিদ্যুতের মোট উৎপাদন সক্ষমতা ২৫ হাজার ৩৩৯ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ফার্নেস অয়েল ও ডিজেলচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সক্ষমতা ৬ হাজার ৯৮২ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর মধ্যে বেসরকারি খাতের (আইপিপি) আছে ৩২টি, যার মোট সক্ষমতা ৪ হাজার ৩৬২ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ৮৯০ মেগাওয়াট গত অর্থবছরেই (২০২২-২৩) মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে। তবে এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অনেকগুলোই আবার চুক্তি নবায়ন করে ‘নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট’ শর্তের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। আর চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মেয়াদ শেষ হচ্ছে আরো ১ হাজার ৭৭০ মেগাওয়াটের। বিদ্যুতের তীব্র চাহিদার মৌসুমেও দেশে জ্বালানি তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সর্বোচ্চ সক্ষমতার ব্যবহার হয় সাড়ে ৩ হাজার মেগাওয়াট। বর্তমানে গড়ে সর্বোচ্চ দেড় হাজার মেগাওয়াট এ শ্রেণীর বিদ্যুৎ কেন্দ্র ব্যবহার করা হচ্ছে। সূত্র: বণিক বার্তা ।

রাজপথে নতুন কৌশলে যুগপতের মিত্ররা
একই সময়ে কাছাকাছি স্থানে কর্মসূচি

ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে একদফার চলমান আন্দোলন আরও চাঙ্গা ও গতিশীল করতে নতুন কৌশল গ্রহণ করেছেন যুগপৎ আন্দোলনের মিত্ররা। বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতারা গ্রেপ্তার এবং বাকিরা আত্মগোপনে থাকায় আগামীতে রাজপথে কর্মসূচি বাস্তবায়নে একে অন্যকে সব ধরনের সহযোগিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। যুগপৎ আন্দোলনে থাকা বিভিন্ন দল ও জোট এখন থেকে একই দিনে একই সময়ে কাছাকাছি দূরত্বে অবস্থান নিয়ে যার যার ব্যানারে কর্মসূচি পালন করবে। বিএনপির সঙ্গে আলোচনার পর নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দলের নেতারা। জোট নেতারা বলছেন, একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আরেক দফা ক্ষমতায় থাকার জন্য বিরোধীদের আন্দোলন কঠোরভাবে দমনের পথ অবলম্বন করেছে। এমন পরিস্থিতিতে রাজপথে কর্মসূচি বাস্তবায়নে তাদেরও কৌশল পরিবর্তন করতে হয়েছে। জোটগুলো এখন একই সময়ে কাছাকাছি দূরত্বে রাজপথে কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে সরকারি দল এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে কর্মসূচিতে কোনো হামলা বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হলে সবাই মিলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে মনে করেন তারা।জানা গেছে, বিএনপির নেতৃত্বে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য এবং গণফোরাম (মন্টু) ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি) কর্মসূচি বাস্তবায়নে নতুন এই উদ্যোগের সঙ্গে একমত হয়েছে। আর সুষ্ঠুভাবে আন্দোলন পরিচালনার লক্ষ্যে শিগগির যুগপতে থাকা বিভিন্ন জোটের সমন্বয়কদের নিয়ে একটি স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হবে। নতুন এই কৌশল নিয়ে আগামী দু-এক দিনের মধ্যেই মাঠে নামবেন যুগপতের শরিকরা। সূত্র: কালবেলা।

মহাসমাবেশের আগে সরকারের দিকে তাকিয়ে কেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়

বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় সংগঠন- হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অভিযোগ যে ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘুদের জন্য যেসব অঙ্গীকার করেছিলো তার কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি।বরং তারা মনে করেন, দেশের সংখ্যালঘুরা এখন ‘নিরাপত্তাহীন পরিবেশে’র মধ্যে আছে।সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক রানা দাশ গুপ্ত বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, “একটি অঙ্গীকারও বাস্তবায়ন করা হয়নি। সরকারি দল বারবার আমাদের উপেক্ষা করার চেষ্টা করেছে। একটানা অবজ্ঞা অবহেলার মধ্যেই আছে এ দেশের ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। এদের গুরুত্ব শুধু ভোটের সময়। এর আগেও না, পরেও না। ” মি. গুপ্ত বলছেন, এখন ১৫ই নভেম্বর পর্যন্ত তারা দেখবেন যে সরকার আসলে কোন উদ্যোগ নেয় কিনা, না হলে আগামী ১৭ই নভেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করে তারা তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করবেন।যদিও সরকারের পক্ষে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কবির বিন আনোয়ার বিবিসিকে বলছেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য আওয়ামী লীগের দেয়া কয়েকটি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের পর্যায়ে আছে, যা নিয়ে কাজ চলছে।“সরকার একেবারে কিছু করেনি তা নয়। একটি সুরক্ষা কমিশন তৈরির বিষয়টি আইন মন্ত্রণালয় হয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে আছে। আরও কিছু বিষয়ে কাজ হচ্ছে, “বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি। সূত্র: বিবিসি বাংলা।