ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ গেটে ছাত্রদলের তালা, ভেঙে দিল ছাত্রলীগ
বিএনপির ডাকা অবরোধের সমর্থনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৯টি গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। এ সময় প্রতিটি গেটে ‘দেশ রক্ষার অবরোধ সফল হোক’ লেখাসংবলিত একটি করে ব্যানার ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে পরবর্তীতে তালা ভেঙে গেট খুলে দেয় ছাত্রলীগ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
তালা লাগানো গেটগুলো হলো- কার্জন হল গেট, পুষ্টি ইন্সটিটিউট গেট, কলাভবন মসজিদ গেট, আই ই আর গেট, চারুকলা গেট, সমাজ কল্যাণ ইন্সটিটিউট এর ২টি গেট, সাইন্স লাইব্রেরি গেট এবং কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের গেট।


রোববার (৫ নভেম্বর) ভোর ৬টায় ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলকর্মীরা গেটে তালা লাগায়। তালা লাগানোর খবর পেয়ে তা ভেঙে শিক্ষার্থীদের প্রবেশের জন্য গেট খুলে দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা।
ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল এবং সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চারুকলা অনুষদের ফটকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবিসংবলিত একটি ব্যানার দেখা গেছে। ব্যানারটিতে লেখা ছিল, ‘অবরোধ, অবরোধ, অবরোধ। রাষ্ট্র মেরামতের কাজ চলছে। সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল।’
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল বলেন, দেশ বাঁচানো, মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য ফ্যাসিস্ট হাসিনার পদত্যাগ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন এর দাবিতে জনগণকে সাথে নিয়ে বিএনপির শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের এই কর্মসূচি পালন করে।
ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ছাত্রদলের সাহস নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে প্রবেশ করার। তারা ১০ জন নেতাকর্মী নিয়েও ক্যাম্পাসে প্রবেশের সাহস রাখে না। ২৮ অক্টোবরের পরে তাদের নেতাকর্মীরা আর বের হবার সাহসও পাচ্ছে না। তারা শুধু পারে গভীর রাতে বা ভোরে যখন শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে থাকে না এমন সময় প্রবেশ করে শিক্ষার্থী বিরোধী কাজ করতে। তারা অবরোধ ডেকেও মাঠে আন্দোলনে নামতে পারে না।
তবে সকালে এসব তালা ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে জানা যায়। সকাল ৯টায় সরজমিন গিয়ে তালা দেখা যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা তালাগুলো ভেঙে ফেলেছে।
সারাদিন. ৫ নভেম্বর