নভেম্বরে রেমিট্যান্স এলো ২১ হাজার ১৮১ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৬:২৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩, ২০২৩

সদ্যবিদায়ী নভেম্বর মাস শেষে ১৯৩ কোটি ডলার বা ১.৯৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি এক ডলার সমান ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সা) যা ২১ হাজার ১৮১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
আগের মাসে এসেছিল প্রায় ১৯৮ কোটি ডলার। সে বিবেবচনায় রেমিট্যান্স কমেছে ৫ কোটি ডলার। অবশ্য গত বছরের একই মাসের তুলনায় বেড়েছে। গত বছরের নভেম্বর মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল মাত্র ১৬০ কোটি ডলার।

রবিবার (৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাজার পরিস্থিতি সামাল দিতে রিজার্ভ থেকে অব্যাহত রয়েছে ডলার বিক্রি। আকুসহ বিভিন্ন বিল পরিশোধ রিজার্ভও কমছে। ডলার বিক্রি করায় চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) রিজার্ভ কমেছে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি। গ্রস রিজার্ভ নেমে এসেছে ২৫ বিলিয়নে। আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী আরও কমে ১৯ বিলিয়নের ঘরে এসেছে।

গত মাসের প্রথম ১০ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে মোট ৭৯ কোটি ৪৪ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল, দৈনিক যা ৭ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। আর কড়াকড়ি শুরুর পর শেষের ২০ দিনে এসেছে ১১৪ কোটি ডলার, দৈনিক যা ৫ কোটি ৬৯ লাখ ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগে আমদানি ব্যাপক কমলেও আশানুরুপ রেমিট্যান্স না আসা এবং বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণ দ্রুত কমায় আর্থিক হিসাবে বড় ঘাটতি তৈরি হয়েছে। যে কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রচুর ডলার বিক্রি করছে ব্যাংকগুলোর কাছে। এতে করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ১৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। ২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ ছিল রেকর্ড ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ওপরে। রিজার্ভের ধারাবাহিক পতন ঠেকাতে বিদেশি ঋণ বাড়ানোসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, ২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ সংখ্যক রেমিট্যান্স এসেছিল। বিদায়ী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।

Nagad