ইতিবাচক প্রবাসী আয়: ২২ দিনে এলো ১৫৭ কোটি ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৭:০২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩

বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে আশা জাগাচ্ছে প্রবাসী আয়। ডিসেম্বরের প্রথম ২২ দিনে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এলো ১৫৬ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৭ হাজার ১৮৫ কোটি ৮০ লাখ ৬০ হাজার টাকা (প্রতি ডলার ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা হিসাবে)।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় আসার এ ধারা অব্যাহত থাকলে বিজয়ের মাসে দুই বিলয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে, যা রিজার্ভেও কিছুটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ডিসেম্বরের ২২ দিনের প্রতি দিনে প্রবাসী আয় এসেছে সাত কোটি ১৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার। আগের বছর একই সময়ে এসেছিল পাঁচ কোটি ৬৬ লাখ ৫৬ হাজার ৬৬৬ ডলার। চলতি বছরের নভেম্বরে প্রতিদিন এসেছিল ছয় কোটি ৪৩ লাখ ৩৪ হাজার ৬৬৬ ডলার।

হিসাব অনুযায়ী ডিসেম্বর মাসের ১৫ দিনে প্রবাসী আয় ঊর্ধ্বমুখী ধারায় রয়েছে।

৪৪ মাসে সর্বনিম্ন প্রবাসী আয় হয় চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে। এরপর প্রবাসী আয় ব্যাংকিং চ্যানেলে আনতে নানা উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রবাসী আয়ে সরকার ঘোষিত ২ দশমিক ৫০ শতাংশ প্রণোদনার পাশাপাশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ প্রণোদনা দিয়ে প্রবাসী আয় দেশে আনার অনুমতি দেয়। বাড়ানো হয় প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম। এরপর থেকে বাড়তে থাকে প্রবাসী আয়। বর্তমান এ ধারা অব্যাহত।

Nagad

তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ডিসেম্বরের প্রথম ২২ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের ছয় ব্যাংকর মাধ্যমে এসেছে ১৩ কোটি ৮৫ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে পাঁচ কোটি ৪৭ লাখ ২০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৩৭ কোটি ১৯ লাখ ১০ হাজার ডলার। আর দেশে অবস্থিত বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৩ লাখ ৩০ হাজার ডলার।

বিদেশি স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, হাবিব ব্যাংক, ব্যাংক আল ফালাহর মাধ্যমে কোনো প্রবাসী আয় আসেনি। দেশি আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, কম্যুনিটি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো প্রবাসী আয় আসেনি।

অন্যদিকে গত নভেম্বর মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৩ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি এক ডলার সমান ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সা) ২১ হাজার ১৮১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এটি আগের মাস অক্টোবরের চেয়ে প্রায় ৫ কোটি ডলার কম। অক্টোবর মাসে এসেছিল প্রায় ১৬০ কোটি ডলার। তবে গত বছরের একই মাসের চেয়ে ৩৩ কোটে ডলার বেশি এসেছে। গত বছরের নভেম্বর মাসে এসেছিল প্রায় ১৬০ কোটি ডলার।

খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, ২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ সংখ্যক রেমিট্যান্স এসেছিল। বিদায়ী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।