ভোট উৎসবমুখর ও সুন্দর হবে, এটা আমি বলতে পারি: ইসি রাশেদা

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:১৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩, ২০২৪

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ভোট উৎসবমুখর ও সুন্দর হবে, এটা আমি বলতে পারি। ১৯৯৬ সালে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হওয়ার কারণে সেই নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তাই আমরা এবারের নির্বাচনে কোনো বিতর্ক তৈরি করতে চাই না। আমরা আমাদের জনগণ ও আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই। ভালো নির্বাচন করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। মিডিয়া, পত্রিকা দেখে আমার মনে হচ্ছে সরকার চাইছে একটা ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন হোক।

আজ বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা এ মন্তব্য করেন।

রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘প্রত্যেকটা ভোট এলেই বলা হয়, একটা অগ্নিপরীক্ষা সামনে। এবার বলা হচ্ছে অন্তর্জাতিক অগ্নিপরীক্ষার মুখে আমরা দাঁড়িয়ে আছি।’ কেন এমনটা বলা হয়, এমন প্রশ্নের উত্তরে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘ঠিক ওই সেন্সে অগ্নিপরীক্ষা না। নির্বাচন যদি গ্রহণযোগ্য মাত্রায় না যায়, আমরা আগেও দেখেছি, ১৯৯৬ সালে কোনো একটা অন্দোলন-টান্দোলনের মধ্যে দিয়ে নির্বাচন হয়েছিল। তারপর কিন্তু সে নির্বাচনটা দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়নি। সেই নির্বাচনটা গ্রহণযোগ্য হয়নি বলে অল্প দিনের ব্যবধানে কিন্তু আবারও একটা নির্বাচন হয়ে গেছে।’

আজকে সেনাবাহিনী নামল, এরপর নির্বাচনি সহিংসতা কতটুকু দূর হবে বলে আপনি মনে করেন-এমন প্রশ্নের উত্তরে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘আমাদের যত আয়োজন সব কিন্তু শান্তিশৃঙ্খলার সঙ্গে যেন ভোট হয় সে পরিবেশ সৃষ্টি করা। এটা জনগণেরও চাওয়া যেন সেনাবাহিনী মাঠে নামে। আমরা যতগুলো সংলাপ করেছি, সেখানেও সবাই বলেছেন, যেন সেনাবাহিনী মাঠে নামে। পরিবেশ যেন সুন্দর থাকে, সবাই যেন সুন্দরভাবে ভোট দিতে পারে, সেজন্যই সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে। আমরা আশ্বাস দিয়ে বলছি ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ভোট সুন্দরভাবে হবে।’

রাশেদা সুলতানা বলেন, আমি মনে করি, নির্বাচনের মাঠ আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কেমন হবে– সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনার বিষয়টি। সেজন্য বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা প্রচার করে যাচ্ছি। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রের প্রাণ, ভোটাররা কেন্দ্রে না এলে নির্বাচন নিষ্প্রাণ হয়ে যাবে। তবে আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে যেসব তথ্য পাচ্ছি তাতে আমরা আশাবাদী ভোটকেন্দ্রে অনেক ভোটার আসবে।

একটি বড় দলের (বিএনপি) নির্বাচনে না আসার বিষয়টাকে কীভাবে দেখছেন– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দলগুলোর জন্য ভোটে আসা না আসা তাদের স্বাধীন ইচ্ছা। কিন্তু সেজন্য তো ভোট থেমে থাকবে না। আর ভোটকে কোনোভাবে প্রতিহত করা যাবে না এবং কোনো নাশকতামূলক কাজ করা যাবে না। এগুলো যদি তারা করে, তাহলে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি যথাযথ পদক্ষেপ নেবে। তবে সব দল নির্বাচনে এলে একটা স্বস্তির বিষয় হতো, একটা উৎসবের বিষয় থাকত। এখন সেটা অতটা নেই, সেটা তো আর অস্বীকার করার কিছু নেই।

Nagad

আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে আপনারা আর সরকার কী একই পথে হাঁটছে- এমন প্রশ্নে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে তো আমাদের কোনো লিয়াজোঁ নেই। কখনো কোনোদিন সরকারি কারও সঙ্গে কথাবার্তা বা ওঠাবসা নেই। তবে, পেপার পত্রিকার দৃষ্টিতে, আমরা যেটুকু খবর পাচ্ছি তাতে আমার মনে হচ্ছে, সরকারও বোধহয় চাইছে একটা ফেয়ার ইলেকশন হোক। প্রধানমন্ত্রী নিজে এবং ওবায়দুল কাদের সাহেব বা বিভিন্ন মন্ত্রীরা যেভাবে বলছেন, তাতে আমাদের মনে হচ্ছে, উনারাও একটা ফেয়ার ইলেকশন চাইছেন।’