‘যাকে খুশি ভোট দেবেন। ভোটের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখবেন’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৫:১৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩, ২০২৪

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে কোনো সংঘাত চাই না। যাকে খুশি ভোট দেবেন। ভোটের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখবেন।

তিনি বলেন- আমরা দেশে একটি সত্যিকারের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আর বিএনপি চায় কারচুপির নির্বাচন। জনগণের ভোট চুরি করে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকার বহু চেষ্টা করেছে। কিন্তু জনগণের ভোট চুরি করলে ক্ষমতায় থাকা যায় না, এটা প্রমাণিত হয়েছে। কারণ জনগণের ভোট চুরি করলে জনগণ তা মেনে নেয় না।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ বুধবার (৩ জানুয়ারি) অনলাইনে যুক্ত হয়ে নির্বাচনি জনসভায় এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গ্যাস বিক্রি করার মুচলেকা দিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতায় এসেই তারা দুর্নীতি লুটপাত, জঙ্গিবাদ, বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা এবং আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের অকাট্য নির্যাতন শুরু করে। তাদের দুর্নীতি এমন পর্যায়ে চলে যায়, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ও আরেক দিকে তারেক যে হাওয়া ভবন খুলে দুর্নীতির আখড়া গড়ে তোলে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপি জানত জনগণ তাদের ভোট দেবে না। এর ফলে তারা এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার লিস্ট তৈরি করে। সেভাবে নির্বাচন করার প্রচেষ্টা নেয়। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি ৩০০ আসনের মধ্যে ৩০টি সিট পেয়েছিল। আওয়ামী লীগ ২৩৩ সিটে জয়ী হয়। আর অন্য সিটগুলো আমাদের জোটের শরিকরা পেয়েছিল।

বিএনপির তীব্র সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যখন দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছি, তখন বিএনপি সন্ত্রাস করে চলেছে। তাদের কাজই হচ্ছে সন্ত্রাস সৃষ্টি করা। তারা মানুষকে পুড়িয়ে মারার মতো জঘন্য কাজ করছে। ২০১৩-১৪ সালে যেমন করেছে, কিছুদিন আগেও তারা একই কাজ করেছে। এসব ঘটনা সারা বিশ্বকে নাড়া দিয়েছে। তারা বিচারপতিদের বাসাবাড়িতে হামলা করেছে, সাংবাদিকদের পিটিয়েছে, পুলিশকে পিটিয়ে মেরেছে। এগুলোর জবাব দেশবাসীকে ভোটের মাধ্যমে দিতে হবে। আমরা চাই, দেশবাসী ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়ে এসব সন্ত্রাসের জবাব দিক এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখুক।

Nagad

নির্বাচন সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন জায়গায় আমাদের নৌকা মার্কার প্রার্থী রয়েছে। এর বাইরেও আমরা নির্বাচন সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছি। কাজেই আপনারা আপনাদের পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দেবেন। কিন্তু কোনোরকম গণ্ডগোল আমি চাই না। কোনো ধরনের সহিংসতা যেন না হয়, সর্বোচ্চ সহনশীলতা দেখাতে হবে। নির্বাচনে যারা যার ভোট শান্তিমতো দেবে, সেই পরিবেশ আমরা সৃষ্টি করে দিয়েছি। ভোটের পরিবেশটা আমাদের ঠিক রাখতে হবে। কারণ আমাদের সবার মনে রাখতে হবে, এ নির্বাচনটা বাংলাদেশের জন্য একান্ত জরুরি। কারণ বাংলাদেশকে নিয়ে অনেকেই অনেক রকম খেলা খেলতে চায়। এদেশের ভাগ্য নিয়ে যাতে কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচন যাতে ইতিহাসের মাইলফলক হয়ে থাকে, আমাদের সেই চেষ্টাই করতে হবে।