ছাত্রলীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:১০ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৪, ২০২৪

বাংলাদেশের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দানকারী ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ।

বাংলা, বাঙালির স্বাধিকার অর্জনের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জন্ম হয়। উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ও প্রচীন ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭৬তম বার্ষিকী উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

বুধবার (৩ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি তুলে ধরেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মহান সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেভাবে প্রতিটি ধাপ উত্তরণ করেছেন তার প্রতিটিতে বঙ্গবন্ধুর ছায়াসঙ্গী হিসাবে সঙ্গে থেকেছে ছাত্রলীগ। বঙ্গবন্ধু আদেশ দিয়েছেন, ছাত্রলীগ তা মানুষের মাঝে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বঙ্গবন্ধুর আকাঙ্ক্ষাকে জনগণের মুখের ভাষায় পরিণত করেছে ছাত্রলীগ।

কর্মসূচি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ৬টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল সাড়ে ৭টায় ধানমন্ডিস্থ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, ৭টা ৪৫ মিনিটে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের প্রতিনিধিদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সকাল ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন। সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশ ও শোভাযাত্রা এবং অনির্ধারিত সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পুনর্মিলনী উৎসব।

ছাত্রলীগের এবারের প্রতিপাদ্য, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ : উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান।’

Nagad

উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ও প্রাচীন ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭৬তম বার্ষিকী উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা। ছাত্রলীগ তার দীর্ঘ রাজনৈতিক পরিক্রমায় ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয়, ৫৮’র আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফার পক্ষে গণ-অংশগ্রহণের মাধ্যমে মুক্তির সনদ হিসেবে এই দাবিকে প্রতিষ্ঠা করে। এরপর ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে কারাগার থেকে মুক্ত করে আনা, ৭০’র নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়লাভ এবং ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে পরাধীন বাংলায় লাল সবুজের পতাকার বিজয় ছিনিয়ে আনতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে অংশ নেয় ছাত্রলীগ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা সপরিবারে নিহত হওয়ার পর ছিনতাই হয়ে যায় স্বাধীনতার চেতনা ও গণতান্ত্রিক ধারা।

১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) দেশে ফিরে স্বাধীনতার চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং গণতান্ত্রিক ধারা পুনরুদ্ধারে আন্দোলনের সূচনা করেন। ছাত্রলীগ ’৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনন্য ভূমিকা পালন করে।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঘোষিত কর্মসূচি যথাযথ মর্যাদায় পালন করতে ইউনিটের (জেলা, মহানগর, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ) নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।