জামানত হারালেন তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপার্সন শমসের মবিন

সিলেট প্রতিনিধি:সিলেট প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: ৯:১৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৮, ২০২৪

‘কিংস পার্টি’ হিসেবে পরিচিত পাওয়া তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপার্সন শমসের মবিন চৌধুরী হঠাৎ করেই আলোচনায় এসেছিলেন। ঢাকঢোল পিটিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীও দিয়েছিল তার নেতৃত্বাধীন দলটি। কিন্তু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৬ আসন থেকে হেরে জামানত হারিয়েছেন তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ও দলটির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী।

রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে ঘোষিত চূড়ান্ত বেসরকারি ফলাফলে এ তথ্য জানানো হয়।

তার দলের প্রার্থীদের মধ্যে কোথাও কেউ তো পাস করেনি উলটো জামানত হারিয়েছেন অনেকেই। এই তালিকায় বাদ যাননি শমসের মবিন চৌধুরীও। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে গিয়ে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে তার।

দেখা যায়- নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৭৭৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সরওয়ার হোসেনের পান ৩৯ হাজার ৪৮৮টি ভোট। আর শমসের মবিন চৌধুরী ১০ হাজার ৯৩৬ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৬ আসনে তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপার্সন দলীয় প্রতীক সোনালী আঁশ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে যে ভোট পান তা জামানত রক্ষায় পর্যাপ্ত নয়।

নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী, জামানত রক্ষায় প্রার্থীদের মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট পেতে হয়। শমসের মবিনের জামানত রক্ষায় প্রয়োজন ছিল ১৪ হাজার ৫৮৭ ভোট। আর শমসের মবিন চৌধুরী পেয়েছেন ১০ হাজার ৯৩৬ ভোট। তাই তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।

Nagad

প্রসঙ্গত, সিলেট-৬ আসনে ১৯২টি কেন্দ্রে ৪ লাখ ৭২ হাজার ৭৪৯ ভোটার ছিল। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৩৭ হাজার ৫০৯ জন ও নারী ভোটার দুই লাখ ৩৫ হাজার ২৩৯ জন। আসনটিতে কাস্টিং ভোট সংখ্যা এক লাখ ১৬ হাজার ৭০২টি।

২০১৫ সালে পদত্যাগ করার আগ পর্যন্ত বীর বিক্রম মেজর (অব.) শমসের মবিন চৌধুরী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে তিনি বিকল্পধারার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দেন। গত ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন হন। দলটি ২০১৫ সালে প্রয়াত বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা গঠন করেছিলেন। দলটি এবারই প্রথম ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে।