প্রতিমন্ত্রীর সাথে পিটার হাসের বৈঠক, যেসব আলোচনা হলো

তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিবেদক:তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৬:২৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৬, ২০২৪

বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস মঙ্গলবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ‌্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক-এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

আজ মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার দপ্তরে সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় বিশেষ করে ডাটা নিরাপত্তা, কৃত্তিমবুদ্ধিমত্তা, আইওটি, রোবটিক্স এবং ডাক ব‌্যবস্থা আধুনিকায়নে দুদেশ এক সাথে যাতে কাজ করতে পারে সে বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন।

বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন পলক। তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কীভাবে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া সাইবার নিরাপত্তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। নতুন সরকারের প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের বৈঠকে ব্যবসা নিয়ে কথা বলা মানে, দুই দেশের সম্ভাবনার দুয়ার খুলছে। সম্পর্ক আরো সম্প্রসারিত ও ঘনিষ্ঠ হবে।

জুনাইদ আহমেদ পলক বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র বন্ধুপ্রতীম দুটি দেশের ব‌্যবসা বাণিজ‌্য বিশেষ করে তথ‌্য যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে বিদ্যামান চমৎকার সম্পর্কের বিষয়গুলো উল্লেখ করে বলেন, আর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ সজীব ওয়াজেদ জয় এর পরামর্শে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশের গড়ার রূপকল্প প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিযাত্রা আমরা শুরু করেছি। এর সফল বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে কাজ করবে বিষয়টি আলোচনায় স্থান পায়।

সাংবাদিকদের প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের আলোচনার মূল তিনটি উদ্দেশ্য ছিল, আমেরিকা আমাদের সফটওয়্যার ও ফ্রিল্যান্সারদের আউটসোর্সিংয়ের সবচেয়ে বড়ো গন্তব্য। যে ষাটটি দেশে আমরা সফটওয়্যার রফতানি করি, আমেরিকায় তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয়। আমেরিকায় আমাদের আউটসোর্সিংয়ের ক্লায়েন্ট (গ্রাহক) অন্য দেশগুলোর তুলনায় বেশি। কীভাবে এটা আরও বাড়াতে পারি, সেটা নিয়ে আমরা কথা বলেছি। দশটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রিসোর্স ইনোভেশন সেন্টার স্থাপন করার বিষয়েও কথা হয়েছে। মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকার তাতে কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য বাংলাদেশের ডাক বিভাগের সঙ্গে আমেরিকার কীভাবে জি-টু-জি সহযোগিতা হতে পারে এবং আমেরিকার যে কোম্পানিগুলো আছে, বিশেষ করে অ্যামাজন, স্টারলিং, স্পেসএক্স, গুগল ও ফেসবুকের বিনিয়োগ কোন কোন ক্ষেত্রে আরও বেশি হতে পারে, সেগুলো নিয়ে কথা বলেছি।

সব মিলিয়ে বলতে পারি, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কী ধরনের সহযোগিতা পেতে পারি এবং একসাথে কীভাবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে পারি, রফতানি ও বিনিয়োগ বাড়ানো এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। তিনি বলেন, আমাদের স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানগুলোতে আমেরিকার প্রচুর বিনিয়োগ রয়েছে। গত পাঁচ বছরে এ খাতে আটশ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ রয়েছে। আবার বাংলাদেশে এখন ওরাকল, মাইক্রোসফটসহ বেশ কিছু আইটি কোম্পানি কাজ করছে। আরও অনেক কোম্পানিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের বাড়াতে আকর্ষণ করতে চাই। সর্বশেষ সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয় প্রয়োজন, সেগুলো নিয়ে কথা হয়েছে।

Nagad

সারাদিন. ১৬ জানুয়ারি