‘মানুষের কষ্টের জন্য দুঃখ প্রকাশ নসরুল হামিদের, গ্যাস স্বাভাবিক হবে মার্চে’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৭:৪৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৬, ২০২৪

দেশের চলমান গ্যাস সংকটকে সাময়িক উল্লেখ করে আগামী দুই মাসের মধ্যে এটা স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। তিনি বলেন-চলমান গ্যাস সংকট সাময়িক। এটা কমিয়ে আনার জন্য কাজ চলছে। আগামী মার্চ থেকে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।’

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অগ্রগতি, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। গত ১১ জানুয়ারি গঠিত নতুন মন্ত্রিসভায়ও নসরুল হামিদ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন।

দেশে গ্যাস সরবরাহের চিত্র তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই সংকট কাটতে আরও কিছুদিন সময় প্রয়োজন হবে। দেশের দুটি এলএনজি টার্মিনালের মধ্যে একটি সংস্কারের জন্য দেশের বাইরে রয়েছে। এ কারণে শীতে চলমান গ্যাস সংকট আরও বেড়েছে।

এলএনজি টার্মিনালটি সংস্কার শেষে দেশে না আসা পর্যন্ত গ্যাসের সরবরাহ বৃদ্ধি করার পেট্রোবাংলার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, প্রতি বছর শীতে পাইপ লাইনে পানি জমার কারণে গ্যাসের সংকট সৃষ্টি হয়। একইভাবে তাপমাত্রা কমে যাওয়াতে গ্যাসের চাহিদা বৃদ্ধি পায়।

নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমরা নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের একটা টাইমলাইন ঠিক করে ফেলেছি। ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সাপ্লাই থাকবে। আমরা যেভাবে বিদ্যুতে করেছি- এত তারিখের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়ন হবে। গ্যাসের ব্যাপারেও সেই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আমরা মাত্র ২০ শতাংশ গ্যাস বিদেশ থেকে আমদানি করি। আমরা ৮০ শতাংশ নিজস্ব গ্যাস ব্যবহার করছি। আমরা আমদানির গ্যাসের অবস্থাটা খুব বেশি বড় করতে চাই না। আমাদের আমদানির গ্যাস থাকবে। মাঝখানে যে গ্যাপটা থাকবে সেই গ্যাপটা আমদানির গ্যাস দিয়ে পূরণ করতে চাই।’

Nagad

নসরুল হামিদ বলেন, ২০২৬ সালের মধ্যে দেশে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ থাকবে। আর ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৬টি কূপ খনন করা হবে। এরপর আরও ১০০ কূপ খনন করা হবে। আমরা আরও দুটি এলএনজি টার্মিনাল নিয়ে আসছি।

সামনের রোজা ও গ্রীষ্মকালে এবার আগের চেয়েও বিদ্যুতের চাহিদা বাড়বে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই চাহিদা মোকাবিলায় সরকার এখনই উদ্যোগ নিচ্ছে। এবার গ্রীষ্মে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার মেগাওয়াটে দাঁড়াবে।

চাহিদা পূরণের সরকারের প্রস্তুতি থাকলেও মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধ পরিস্থিতির অবনতি হলে লক্ষ্য পূরণ কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেন নসরুল হামিদ।

সামনের রোজা ও গ্রীষ্মকালে এবার আগের চেয়েও বিদ্যুতের চাহিদা বাড়বে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই চাহিদা মোকাবিলায় সরকার এখনই উদ্যোগ নিচ্ছে। এবার গ্রীষ্মে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার মেগাওয়াটে দাঁড়াবে।

চাহিদা পূরণের সরকারের প্রস্তুতি থাকলেও মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধ পরিস্থিতির অবনতি হলে লক্ষ্য পূরণ কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেন নসরুল হামিদ।