আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ দশ খবর
ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য
টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই ভারত নিতে পারে না
প্রতিবেশী দেশ ভারত গত শনিবার টাঙ্গাইলের শাড়ি তাদের দেশের জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন বা ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে নিবন্ধন দিয়েছে, যা ভারত দিতে পারে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের জিআই সনদ দেওয়া প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। তাঁরা বলছেন, এটা নৈতিকতা বিরোধী। একই সঙ্গে জাতিসংঘের অধীন প্রতিষ্ঠান বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থা বা ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশনে (ডাব্লিউআইপিও) আপত্তি জানানোর সুযোগ রয়েছে। তবে এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জিআই কী-যেসব পণ্য কোনো নির্দিষ্ট এলাকা বা অঞ্চলকেন্দ্রিক হয়ে থাকে, একই সঙ্গে আঞ্চলিকভাবে খ্যাতি রয়েছে, ৫০ বছরের বেশি সময়ের ঐতিহ্য রয়েছে, এসব পণ্য জিআই সনদ পাওয়ার যোগ্যতা রাখে। এসব পণ্যের গুণাগুণের প্রমাণ বিভিন্ন দালিলিক নথি, প্রাচীন সাহিত্য ও পুথিতে থাকতে হয়। একই সঙ্গে ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য থাকতে হয়। অর্থাৎ, ওই পণ্য শুধু নির্দিষ্ট অঞ্চলের হতে হবে।


পুলিশ নেবে এসআই, যেসব ধাপে প্রার্থী নির্বাচন
বাংলাদেশ পুলিশে উপপরিদর্শক (এসআই-নিরস্ত্র) পদে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এ পদে নারী ও পুরুষ উভয় প্রার্থীই আবেদনের সুযোগ পাবেন। ইতিমধ্যে অনলাইনে আবেদন শুরু হয়েছে। আবেদন করা যাবে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। উন্নত বাংলাদেশের উপযোগী করে পুলিশকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে নতুন নিয়মে এসআই পদে যোগ্য প্রার্থী বাছাই করা হবে। প্রার্থীদের কয়েকটি ধাপে পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রার্থী বাছাইয়ের ধাপগুলো-প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিং
আবেদনকারী প্রার্থীদের মধ্য থেকে এসএসসি, এইচএসসি, ডিগ্রি/স্নাতক/সমমান পরীক্ষার ফলাফল এবং উচ্চতার ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত নিয়োগবিধি অনুযায়ী ওয়েববেজড প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে নির্দিষ্টসংখ্যক যোগ্য প্রার্থী শারীরিক মাপ, কাগজপত্র যাচাইকরণসহ শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষার জন্য নির্বাচন করা হবে। সূত্র; প্রথম আলো
দুস্থ-এতিমের দুম্বার মাংস ধনীর রান্নাঘরে
লাথি পড়ে গরিবের পেটেই– প্রবাদটি আরেকবার নির্ভুল হলো। সৌদি আরব সরকারের পাঠানো দুম্বার মাংসের বড় অংশই যায়নি দরিদ্র কিংবা দুস্থের কুঁড়েঘরে। ছলে-বলে-কৌশলে কেড়ে নেওয়া সেই মাংস বিত্তবানের রান্নাঘরের হাঁড়িতেই চড়েছে। শুধু তাই নয়, বিত্তশালীর কেউ কেউ দুম্বার মাংস রান্নার আয়োজন ও ভূরিভোজের ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছেন।কোরবানির ঈদের পর দরিদ্র ও দুস্থদের জন্য বাংলাদেশে দুম্বার মাংস পাঠানো সৌদি সরকারের প্রতিবছরের রেওয়াজ। এবারও ১৩ হাজার ৬৮০ কার্টনে ৩ লাখ ৭২ হাজার কেজি (৩৭২ টন) দুম্বার মাংস দেশে আসে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক (ত্রাণ) মো. রাসেল সাবরিনের গত ১৪ জানুয়ারি সই করা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, সৌদি আরব থেকে আসা দুম্বার মাংস দুস্থ ও অসহায় মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেই মাংস চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ফ্রিজিং ভ্যানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স সাম সিন্ডিকেট প্রাইভেট লিমিটেড’ ৬৩ জেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে ধাপে ধাপে পৌঁছে দেয়। দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলছে বিতরণ কার্যক্রম। তালিকা করে দুম্বার মাংস দুস্থ, এতিমখানা ও মাদ্রাসায় বিতরণের কথা থাকলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ঘরে নিয়ে গেছেন। অভিযোগ পেয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের তালিকা ধরে ১০ জেলায় অনুসন্ধান চালায় সমকাল। এর মধ্যে অধিকাংশ জেলাতেই মিলেছে ছলচাতুরী ও অনিয়মের তথ্য। কোথাও সরকারি কর্মকর্তা মাংসে ভাগ বসিয়েছেন, আবার কেউ আপনজনকে দিয়েছেন মাংস উপহার! কোনো কোনো জনপ্রতিনিধির পেটেও গেছে দুম্বার মাংস। গেল দুই সপ্তাহে দুম্বার মাংস হাঁড়িতে চড়ার অর্ধশত ভিডিও ফেসবুক ও ইউটিউবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এসব ভিডিওতে অধিকাংশ ব্যক্তিই বলছেন, সৌদি থেকে পাঠানো মাংস তাদের কেউ না কেউ উপহার দিয়েছেন। সূত্র: সমকাল
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন
ডলারের পর টাকার সংকট
বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক মন্দায় তীব্র ডলার সংকটের মধ্যে এখন টাকার সংকটেও পড়েছে সরকার।আন্তর্জাতিক ও দেশীয় বাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকারের ব্যয় বেড়েছে। এর বিপরীতে আয় বাড়েনি, বরং কমেছে।ব্যয়ের তুলনায় আয় না বাড়ায় টাকার সংকটে পড়েছে সরকার। করোনার সময় থেকে রাজস্ব আয় কম হওয়ায় সরকার টাকার সংকটে পড়েছিল। ওই সময়ে রাজস্ব ঘাটতির টাকা সরকার ঋণ করে মিটিয়েছে। এখন রাজস্ব আয় ঘাটতির পাশাপাশি ঋণের সংকটও রয়েছে। ঋণ করার মতো যথেষ্ট টাকা ব্যাংকেও নেই। ফলে সরকারের টাকার সংকট বেড়েছে।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, করোনার আগে থেকেই অর্থনৈতিক মন্দা ছিল। ওই সময়েও লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আয় হয়নি। ২০২০ সালের মার্চ থেকে দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়ে। এ কারণে দীর্ঘ সময় লকডাউন ছিল।সে সময়ে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। যে কারণে রাজস্ব আদায়ও কম হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও এনবিআর বহির্ভূত খাতে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। আদায় হয়েছিল ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এরপরে ২০২০-২১ অর্থবছরেও রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা। আদায় হয়েছিল ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা। আদায় হয়েছিল ৩ লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা। সূত্র: যুগান্তর
অবৈধ ইটভাটায় পরবিশেরে র্সবনাশ
♦ সারা দেশে অবৈধ ইটভাটার সংখ্যা সাড়ে ৪ হাজার ♦ মন্ত্রণালয়ের ১০০ দিনের কর্মসূচিতে ২০০ ইটভাটা ধ্বংস ♦ চিমনি পুরোপুরি ভাঙলেই বন্ধ হবে অবৈধ ইটভাটা ♦ পোড়ানো ইটের বিকল্প ব্লক ইট ব্যবহারের পরামর্শ
বাংলাদেশে অবৈধ ইটভাটার সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও সেগুলোর দূষণ নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। কোনো কোনো সংগঠন বলছে, অবৈধ ইটভাটা প্রায় সাড়ে ৪ হাজার, আবার কেউ বলছে এ সংখ্যা ৭ থেকে ৮ হাজারের কম নয়। একাধিক তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশে পরিবেশের ছাড়পত্রবিহীন অবৈধ ইটভাটার সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি। দায়িত্ব গ্রহণের পর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী সারা দেশের অবৈধ ইটভাটা চিহ্নিত করার পাশাপাশি অনুমোদনহীন ও বেআইনিভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটাগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তার এই উদ্যোগ বাস্তবায়নকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন পরিবেশবিদরা। জানা যায়, কোনো রাখঢাক ছাড়াই অবৈধ এসব ইটভাটা থেকে বিভিন্ন ধরনের চাঁদা তোলা হচ্ছে। সরকারি কার্যালয়গুলো এসব ইটভাটা থেকে যেমন বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও ফান্ডের টাকা নিচ্ছে, আবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও ইটভাটার মালিকদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা তুলছেন। সুত্র: বিডি প্রতিদিন।
রাজস্ব ঘাটতি: টাকার জন্য মরিয়া সরকার
ডলার-সংকটে অর্থনীতিতে নাজুক পরিস্থিতি চলছে। এ সংকট কাটাতে বাংলাদেশ ব্যাংক একের পর এক পদক্ষেপ নিলেও কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। ডলারের তীব্র সংকটের মধ্যেই এবার টাকার অভাবে পড়েছে সরকার। রাজস্ব আয়ে ঘাটতি ক্রমে বাড়তে থাকায় ব্যয় মেটাতে সরকার অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সমানে ধার করছে। এতে বাড়ছে ঋণের বোঝা। চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) সরকারের রাজস্ব আয়ে ঘাটতি ২৩ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। আমদানি নিয়ন্ত্রণের প্রভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি শ্লথ হওয়ায় রাজস্ব আয়ে ভাটা পড়েছে। আয়ে টান পড়লেও ব্যয় কিন্তু থেমে নেই। এতে টান পড়েছে কোষাগারে। খরচ মেটাতে গত জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের এক দিনেই সাড়ে ১১ শতাংশ পর্যন্ত সুদে ৬ হাজার কোটি টাকা ধার করেছে সরকার। এসব ধার-দেনা চলছে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের মাধ্যমে। এতে ট্রেজারি বিলের সুদহারও বাড়ছে। সূত্র: আজকের পত্রিকা।
দূরে সরছেন বিএনপির ব্যবসায়ীরা
বিএনপির অর্থ সংস্থানের অন্যতম উৎস দলের ব্যবসায়ী নেতারা। তারা ক্রমেই দলের রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন। নিজেদের ব্যবসার স্বার্থে অনেকে দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ কমিয়ে দিয়েছেন। একাধিক নেতা এরই মধ্যে দলই ত্যাগ করেছেন। সক্রিয় যারা আছেন, তারাও আড়ালে রাখছেন নিজেদের।বিএনপির নেতারা বলছেন, সক্রিয় নেতাকর্মীদের প্রায় সবাই এখন এক বা একাধিক মামলার আসামি। তারা ঘরে থাকতে পারেন না, নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বা এলাকায় যেতে পারেন না। এতে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যও এখন রুগ্্ণ। অনেকে ব্যবসা গুটিয়ে ফেলতে বাধ্য হয়েছেন। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিএনপির ব্যবসায়ী নেতাদের ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়াসহ ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। জেলা পর্যায়ে অধিকাংশ নেতাই ঠিকাদারি করতেন। এখন সেটিও প্রায় বন্ধ। দলের ব্যবসায়ী নেতারা দূরে সরে যাওয়ায় বিএনপির কোষাগারেও প্রভাব পড়েছে। নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেওয়া ১০ বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব বলছে, ৬ বছরই বিএনপির আয়ের চেয়ে ব্যয় হয়েছে বেশি।রাজনৈতিক দলগুলোর দৃশ্যমান আয়ের অন্যতম বড় উৎস নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি থেকে। এ ছাড়া এককালীন অনুদান এবং দলীয় সদস্যদের মাসিক চাঁদা থেকেও মোটা অঙ্কের অর্থ আসে। বিএনপির ক্ষেত্রেও আয়ের উৎস একই। সূত্র: দেশ রুপান্তর
‘ভারতীয় পণ্য বয়কট’ ও ‘ইন্ডিয়া আউট’ প্রচারণা বাংলাদেশে দানা বাঁধছে যে কারণে
বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাম্প্রতিক ‘ইন্ডিয়া আউট’ নামে ভারত বিরোধী এক ধরনের প্রচারণা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সেখানে প্রতিবেশী দেশ ভারতের পণ্যসহ দেশটিকে ‘বয়কট’ নিয়ে করা নিয়ে বিভিন্ন ধরণের ক্যাম্পেইন চলছে। গত সপ্তাহ দুয়েক যাবত এ প্রচারণা লক্ষ্য করা যাচ্ছে ফেসবুক, এক্স ও ইউটিউবে। যারা এসব প্রচারণা চালাচ্ছেন, তাদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগ কিংবা সরকার-বিরোধী হিসেবে পরিচিত। এরসাথে ছোটখাটো কয়েকটি রাজনৈতিক দলও রয়েছে।সম্প্রতি ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ঢাকার অলি-গলিতে এক তরুণ হ্যান্ডমাইক হাতে ভারতের পণ্য বর্জনের প্রচারণা চালাচ্ছেন। সে যুবক গণঅধিকার পরিষদ নামে একটি রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত বলে জানা যাচ্ছে।বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এসব প্রচারণা ভারতেও অনেকের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। বাংলাদেশের এসব প্রচারণার বিরুদ্ধে ভারতের অনেকে ইউটিউবে পাল্টা জবাব দিচ্ছেন। সূত্র; বিবিসি বাংলা।
খেলাপি ঋণের মেয়াদ গণনায় আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ফিরছে বাংলাদেশ ব্যাংক
খেলাপি ঋণের মেয়াদ গণনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানদণ্ড ব্যাসেল-৩-এর নীতিতে ফিরছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ মানদণ্ড অনুসরণ হলে কোনো ঋণ অপরিশোধিত থাকার দিন থেকেই মেয়াদোত্তীর্ণ হিসেবে স্বীকৃত হবে। ৯০ দিন বা তিন মাস অপরিশোধিত থাকলে সেটির মান হবে সাব-স্ট্যান্ডার্ড বা নিম্নমানের শ্রেণীকৃত। কোনো ঋণ ১৮০ দিন অপরিশোধিত থাকলে সেটিকে গণ্য করা হবে ডাউটফুল বা সন্দেহজনক হিসেবে। আর ২৭০ দিন কোনো ঋণ অপরিশোধিত থাকলে সেটির মান হবে মন্দ বা খারাপ ঋণ। আগামী জুনের মধ্যেই ব্যাসেল-৩ স্বীকৃত এ মানদণ্ডে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সবকিছু ঠিকঠাক এগোলে চলতি মাসের মধ্যেই এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা বণিক বার্তাকে নিশ্চিত করেছেন।
বর্তমানে দেশের ব্যাংক খাতে কোনো ঋণ ৯০ দিন অপরিশোধিত থাকার পর মেয়াদোত্তীর্ণ হিসেবে স্বীকৃত হচ্ছে। আর সাব-স্ট্যান্ডার্ড মানে শ্রেণিকৃত হতে সময় লাগছে ২৭০ দিন। মন্দ মানের খেলাপি হতে ১৫ মাসেরও বেশি সময় লাগছে। মেয়াদ গণনার এ নীতিছাড়ের কারণে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি হিসেবে বিবেচনাযোগ্য বিপুল পরিমাণ ঋণও নিয়মিত দেখাচ্ছে। এর মাধ্যমে খেলাপি হওয়া থেকে বেঁচে যাচ্ছেন অনেক ঋণগ্রহীতা। আর ব্যাংকগুলোও খেলাপি ঋণের হার ও পরিমাণ কম দেখানোর সুযোগ পাচ্ছে। খেলাপি ঋণের মেয়াদ গণনায় আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ফিরতে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ডেপুটি গভর্নরের নেতৃত্বে একটি কমিটি কাজ করছে। ওই কমিটির দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বণিক বার্তাকে বলেন, ‘ব্যাসেল-৩ অনুসরণের স্বার্থেই খেলাপি ঋণ গণনায় আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ফিরতে হবে। আবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকেও এ বিষয়ে সুপারিশ রয়েছে। এ কারণে চলতি মাসেই বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির প্রস্তুতি চলছে। আগামী মার্চ না হলেও জুনের মধ্যে খেলাপির মেয়াদ গণনায় বিদ্যমান নীতিছাড় উঠে যাবে।’ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মেয়াদ গণনায় আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ হলে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক ধাক্কায় লাখ কোটি টাকা বেড়ে যেতে পারে। কভিড-১৯ সৃষ্ট দুর্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঋণ পরিশোধে ব্যাপক মাত্রায় ছাড় দেয়া হয়েছিল। ওই সময় নীতিছাড়ের সুযোগ নিয়ে দেশের অনেক ব্যবসায়ীই ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করেননি। প্রদেয় কিস্তির ২৫ শতাংশ পরিশোধ করেও অনেকে ঋণ নিয়মিত রাখতে পেরেছেন। আবার নামমাত্র ডাউনপেমেন্ট দিয়েও প্রভাবশালীরা ঋণ পুনঃতফসিল করে নিয়েছেন। এখন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ফিরলে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত এমন অনেক ঋণই খেলাপির খাতায় উঠবে। এতে ব্যাংকগুলোর প্রভিশন বা সঞ্চিতি সংরক্ষণের চাপও বাড়বে। গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকা। সূত্র: বণিক বার্তা।
টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই: ভারতের স্বীকৃতির ‘প্রতিবাদ’ জানাবে মন্ত্রণালয়
টাঙ্গাইলের শাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির ঘটনায় বাংলাদেশে ‘বিস্ময়ের মধ্যে’ করণীয় ঠিক করতে বৈঠক ডেকেছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর। এ নিয়ে বৈঠকে বাংলাদেশের পরবর্তী করণীয় নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পাশাপাশি ভারতকে দেওয়ার স্বীকৃতির বিষয়ে আপত্তি ও প্রতিবাদ জানানোর কথা ভাবছে অধিদপ্তর।অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. বেলাল হোসেন বলেন, “বৈঠকে খুব সম্ভবত ভারতের দাবির প্রতিবাদ জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।” রোববার শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন এ অধিদপ্তরে বৈঠকটি হবে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন সংস্থাটির পরিচালক (ট্রেড মার্কস) মো. জিল্লুর রহমান।তিনি বলেন, “গত বৃহস্পতিবার ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে আমাদের টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই দাবির পরের দিন আমাদের সাপ্তাহিক বন্ধের দিন থাকায় আমরা কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া জানাতে পারিনি।“তবে আমরা এরই মধ্যে জরুরিভিত্তিতে অধিদপ্তরে বৈঠক ডেকেছি। বৈঠকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করে আমাদের মহাপরিচালক ও সচিব মহোদয়কে জানানো হবে।” সূত্র; বিডি নিউজ