‘নেতাদের কথা বার্তা আচার-আচরণে অশ্রদ্ধা-অবহেলা ফুটে ওঠে’

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৩:৩৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, রাজনৈতিক চরিত্র হারিয়ে আওয়ামী লীগ এখন বাকসর্বস্ব বন্দুক নির্ভর দলে পরিণত হয়েছে । এই দলটির সব পর্যায়ের নেতাদের কথা বার্তা আচার-আচরণে জনগণের প্রতি অশ্রদ্ধা-অবহেলা ফুটে ওঠে।

তিনি বলেন- সম্পূর্ণ একদলীয়—একতরফা ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় মসনদের অবৈধ মেয়াদ প্রলম্বিত করে আরও বেপরোয়া হয়ে জনগণের ওপর নতুন মাত্রায় জুলুম চালাচ্ছে ডামি সরকার। মানুষের বেঁচে—বর্তে থাকার অধিকার, জানমাল, মানবাধিকার, জননিরাপত্তা লণ্ডভণ্ড করে দিচ্ছে। তাদের অনঢ়তা, একগুঁয়েমি ও বৈরিতার আঘাতে গণতন্ত্র কবরে শায়িত।

আজ সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।

বিরোধী দল নিষ্পেষণ, গ্রেপ্তার-হত্যা আর সাধারণ জনগণের রক্ত চুষে খাওয়া এখন সরকারের ব্রত বলে অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। বলেন, জনজীবনকে তারা দুর্বিষহ করে তুলেছে। মানুষের জীবনে নেমে এসেছে নাভিশ্বাস দশা। এ দেশে স্বস্তিকর জীবনযাপন বলে কিছু নেই। একটা ভয়ংকর দুঃস্বপ্নের ভেতরে বাংলাদেশকে নিপতিত করা হয়েছে। মানুষ আর সইতে পারছে না।

রিজভী বলেন, রাষ্ট্রের পেশীশক্তি দিয়ে বিরোধী দল দমনের অভিনব সব পন্থা বিগত দেড় দশক ধরে অব্যাহত আছে। বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি মোকাবিলা করতে গিয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর বাড়াবাড়ি বলপ্রয়োগ, একই সময় ক্ষমতাসীন দলের পাল্টা কর্মসূচি সংঘাতময় বিভীষিকার পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।

রিজভী বলেন, সরকারি দলের প্রশ্রয়ে শহর—নগর—বন্দর—জনপদে দাপিয়ে বেড়ানো কিশোর গ্যাংয়ের ছিনতাই, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, হামলা ও খুনাখুনিতে মানুষ আতঙ্কিত। দেশকে পরিণত করা হয়েছে পৃথিবীর এক নম্বর শব্দ আর বায়ুদূষণের ভাগাড়ে। সব মিলিয়ে কেবল এই রাজধানী ঢাকা নয়, পুরো দেশটাকেই যাতনাময়—বিষাদলোকে পরিণত করেছে ভোট ডাকাতির মাফিয়া সরকার। নিত্যপণ্যের বাজার লুটেরা মাফিয়া—সিন্ডিকেটের হাতে বর্গা দিয়েছেন শেখ হাসিনা।

Nagad

রিজভী বলেন, ক্রমাগত দ্রব্যমূল্যের যাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছে জনগণ। মাহে রমজানকে সামনে রেখে এখন থেকেই সরকারের সিন্ডিকেট চক্র জনগণের পকেট কাটতে বেপরোয়া হয়ে উঠছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমানোর ঘোষণা দিলেও বাজারে এর কোনো প্রভাব তো পড়েইনি, উল্টো গত ১০ দিনে রমজান সংশ্লিষ্ট কয়েকটি পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। শুল্ক কমানোর পরে ঐ চারটি পণ্যের দাম কেজিতে ৪০ টাকা কমার কথা, কিন্তু কমেনি তো বটেই বরং এই চারটি পণ্যের দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়ে গেছে। পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩৪ টাকা দরে, যা এক সপ্তাহ আগে ১৩২ টাকায় বিক্রি হতো। এখন খুচরা বাজারে খোলা চিনির কেজি ১৪০ থেকে ১৪৫ এবং প্যাকেটজাত চিনি ১৪৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এখনও সেই দরে কিনতে হচ্ছে চিনি।