পিলখানা ট্রাজেডি ইতিহাসের ঘৃণীত অধ্যায়: বাংলাদেশ ন্যাপ

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৫:১৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪

পিলখানা ট্রাজেডি ইতিহাসের ঘৃণীত অধ্যায় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া। নেতৃদ্বয় বলেন, সেদিন বাংলা হারিয়েছিল জাতির সূর্য্য সন্তানদের। বিডিআর বিদ্রোহের নেপথ্য রহস্য জাতিকে জানানো উচিত। একই সঙ্গে সরকারের দায়িত্ব, সেনা হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য নায়কদেরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া।

আজ রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) পিলখানা ট্রাজেডি উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এ সব কথা বলেন। তারা বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পেছনে উদ্দেশ্য ছিল, আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে নিশ্চি‎হ্ন করা। ষড়যন্ত্রকারীরা মেধাবী সেনা অফিসারদের হত্যা করে সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। এর পেছনে যে কারণটি ছিল, তা হলো, আমাদের ঐক্যহীনতা। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে সাড়ে সাত কোটি বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ স্বাধীন করে। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৩ বছরে একদিকে বৈদেশিক ষড়যন্ত্র, অন্যদিকে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিভক্তিসমূহ একটি দিনের জন্য এই জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে দেয়নি।

তারা আরও বলেন, বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহল এই জাতিকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত করে দিয়েছে। এসব অপশক্তি না থাকলে আমরা একটি একক ও শক্তিশালী জাতিসত্তা গঠন করতে পারতাম। আমাদের এই অনৈক্যের সুযোগে আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশকে ঘিরে পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী শক্তি এবং আধিপত্যবাদী রাষ্ট্রের যে ষড়যন্ত্র, সেই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতার ফসল হচ্ছে পিলখানার নারকীয় ট্রাজেডি।

বাংলাদেশ ন্যাপ নেতৃদ্বয় আরও বলেন, শহীদ সেনা অফিসাররা সবাই ছিলেন জাতির সম্পদ। তাদের অভাব পূরণ খুবই কঠিন। বাংলার মাটিতে হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য নায়কদের ক্ষমা নেই, যত শক্তিধর হোক না কেন, তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় হতেই হবে একদিন।

তারা বলেন, বিডিআর ট্রাজেডির সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে ব্যর্থ হলে জাতি আমাদের ক্ষমা করবে না। বাংলাদেশকে অকার্যকর করার যে চক্রান্ত; তারই অংশ হিসেবেই বিডিআর ট্রাজেডির ঘটনা। ষড়যন্ত্রকারী ও তাদের এদেশের দোসররা বাংলাদেশের পতাকা-মানচিত্র ধ্বংস করতে প্রথমেই আঘাত করেছে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে।

২৫ ফেব্রুয়ারি শোক দিবস ঘোষণার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে একটি দেশপ্রেমিক ও মুক্তিযুদ্ধের সরকারের কাছ থেকে জাতি এই ধরনের সিদ্ধান্তই প্রত্যাশা করছে। ট্রাজেডির ১৫ বছর পরও যখন জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করা হয় না, তখন জনমনে বিভিন্ন প্রশ্নের সৃষ্টি হয়, ক্ষোভও সঞ্চিত হয়।

Nagad