‘শেখ হাসিনার কারণেই মোংলা রামপালে এত উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে’
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আ’লীগের সভাপতি আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, আমাদের মোংলা নদীতো শেষ হয়ে গিয়েছিলো। এই নদীতে রামপাল এলাকার ভোজপাতিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নৌকায় পাড়ি দেওয়ার সময় নৌকা ডুবে মারা যান। আমি ২০১২ সালে মটরসাইকেল রামপাল থেকে পেড়িখালি আসছি। এই নদী আবার নতুন করে প্রাণ পাবে কেউই ভাবেনি। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞ। প্রধানমন্ত্রীকে বলার পর তাৎক্ষণিক ড্রেজিং এর ব্যবস্থা করেন। ৮৪টি খাল ৫৩৩ কোটি টাকা দিয়েছেন যাতে এই নদীতে জেনো আবার স্রোত হয়।
তিনি বলেন-এখন আমাকে অনেকে বলেন অনেক যায়গায় নদী ভাঙ্গন হচ্ছে। আমি বলছি নদী রক্ষা করার পরে অন্য কিছু। নদীতে তো ভাঙ্গন থাকবেই। সেটা রক্ষা করার দায়িত্ব আপনাদের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র জন্য ঘষিয়া-খালী ক্যানেল আবার সুন্দরভাবে চলছে।


মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টায় মিঠাখালী ইউনিয়ন আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় করেন সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, মোংলা নদীতে অনেক আগেই ব্রিজ করতে পারতাম। কিন্তু এই ব্রিজ করলে মোংলা পোর্ট থাকতো না। এই ব্রিজ যদি হতো মোংলা পোর্ট এমনিই বন্ধ হয়ে যেতো। আমরা চাই ঝুলন্ত ব্রিজ। ঝুলন্ত ব্রিজ কি হয়তো অনেকে বোঝেন না। ঝুলন্ত ব্রিজ হলো ব্রিজে কোন পিলার পড়বে না। পিলার পড়লে নদী থাকবে না। চীন-মৈত্রী বাংলাদেশ একটা সেতু আমাদের প্রাপ্য। সেটা হলো মোংলা নদীর উপর একটা ঝুলন্ত ব্রিজ। ইতিমধ্যে ছয়েল টেস্ট হয়ে গেছে। আমরা আশা করবো দুইটা ব্রিজ হবে। একটা মোংলা বন্দর করবে আরেকটা চীন- মৈত্রী বাংলাদেশ। সেই প্রেসিডেন্ট এসে ৩টি ব্রিজের কথা বলেছেন। দাকোপ, মোংলা আরেকটি হলো লেবু খালী।
মিঠাখালি ইউপি আ’লীগের সভাপতি প্রীতিশ চন্দ্র হালদার’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হাওলাদার’র সঞ্চালনায় কর্মী সমাবেশে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান মিসেস কামরুন্নাহার হাই, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম হোসেন, পৌর মেয়র ও পৌর আ’লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আ. রহমান, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শেখ কামরুজ্জামান জসিম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইস্রাফিল হাওলাদার, চাঁদপাই ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা মো. তারিকুল ইসলাম, পৌর আ’লীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব শেখ আ. সালাম সহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় নেতাকর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতিতে কর্মী সমাবেশ বিশাল জনসভায় পরিনত হয়।
সারাদিন/২৭ ফেব্রুয়ারি