রমজানকে সামনে রেখে কেউ যেন পণ্য মজুত করতে না পারে: ডিসি সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ১:২৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রমজানকে সামনে রেখে কেউ যেন পণ্য মজুত করতে না পারে, সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসকদের আরও নজরদারি বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন -একটা সরকারের ধারাবাহিকতা না থাকলে উন্নয়নটা টেকসই হয় না, এটায় প্রমাণিত। আমরা চাই, আমাদের দেশ এগিয়ে যাক, এটাই আমাদের লক্ষ্য। সমালোচকরা শুধু তাৎক্ষনিক নিজেদের সুবিধা চায়। জনগণের কল্যাণের কথা আমাদের চেয়ে ভালো কেউ জানে না। কে কি বললো তা না শুনে প্রতিটি প্রকল্প গ্রহণের সময় সাধারণ মানুষ ও দেশের উপকারের কথা বিবেচনা করতে হবে।

জেলা প্রশাসক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আজ রোববার (৩ মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এবারের নির্বাচন সবচেয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল। আমরা চাই, আমাদের দেশ এগিয়ে যাক, এটাই আমাদের লক্ষ্য। একটা সরকারের ধারাবাহিকতা না থাকলে উন্নয়নটা টেকসই হয় না, এটায় প্রমাণিত সত্য।’

কিশোর গ্যাংয়ের বিষয়ে নজর রাখার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পরিবার থেকে বা স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করতে হবে, যেন ছেলেমেয়েরা এসবে জড়িত হতে না পারে।’

চারদিনের এ সম্মেলনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ৩৫৬টি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমান সরকারের আমলে এটি প্রথম জেলা প্রশাসক সম্মেলন।

Nagad

সম্মেলন ৬ মার্চ শেষ হবে। সবগুলো কার্যঅধিবেশন রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে হবে। এছাড়াও স্পিকার ও বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির সাথে জেলা প্রশাসকরা সৌজন্য সাক্ষাৎ, সদয় নির্দেশনা গ্রহণ ও মতবিনিময় করবেন। এবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও সামরিক-বেসামরিক সমন্বয় বিষয়ক অধিবেশন সংযুক্ত করা হয়েছে।

এবারের সম্মেলনে প্রস্তাবগুলোর মধ্যে জনসেবা বৃদ্ধি, জনদুর্ভোগ হ্রাস করা, রাস্তাঘাট ও ব্রিজ নির্মাণ, পর্যটনের বিকাশ, আইন-কানুন বা বিধিমালা সংশোধন, জনস্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়গুলো রয়েছে। বেশি সংখ্যক প্রস্তাব পড়েছে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে। এছাড়াও ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম জোরদারকরণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম, স্থানীয় পর্যায়ে কর্ম-সৃজন ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি বাস্তবায়ন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ই-গভর্ন্যান্স, শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবারকল্যাণ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ রোধ, ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও সমন্বয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।

শনিবার (২ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে প্রাপ্ত প্রস্তাবগুলোতে জনসেবা বাড়ানো, জনদুর্ভোগ কমানো, রাস্তাঘাট ও ব্রিজ নির্মাণ, পর্যটনের বিকাশ, আইন-কানুন বা বিধিমালা সংশোধন, জনস্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সাজানো হয়েছে। বেশি প্রস্তাব সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সংক্রান্ত। এ সংক্রান্ত মোট প্রস্তাব ২২টি পাওয়া গেছে।