দুটি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে রাজাকারের তালিকা হচ্ছে: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:৪৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ৫, ২০২৪

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, রাজাকারের তালিকা তৈরির কাজটি জটিল। সরকারিভাবে দুটি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে রাজাকারের তালিকা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় দিনের প্রথম কার্য-অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, রাজাকারের তালিকার জন্য আলাদা কমিটি আছে। সরকারিভাবে যে তালিকা ছিল, সেটা কিন্তু আমরা প্রকাশ করার চেষ্টা করেছিলাম। তখন দেখা গেল অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা যুদ্ধের স্বপক্ষে ছিল এমন মানুষের নামও তালিকায় চলে আসে।

তিনি আরও বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানদের তালিকা করে পাঠাতে বলা হলো, দেখা গেল আমার নাম ঢুকিয়ে দিলো। এমনও আছে, যাদের জোর করে ধরে নিয়ে গিয়ে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়েছিল তারাও রাজাকার হয়ে গেছে। অনেক হিন্দু ব্যক্তির নামও ঢুকানো হয়ে গেছে।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, তখন দেশবাসী এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু রেকর্ডে তাদের নাম ছিল। এখন আমরা দুই ভাগে ভাগ করেছি মনে মনে। একটি হলো সক্রিয়ভাবে যারা কাজ করেছে। যেমন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে রাস্তাঘাট চিনিয়ে নিয়ে বাড়িঘর পোড়ানোর জন্য সহযোগিতা করেছে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আরও বলেন, লুটপাট করার জন্য সহযোগিতা করেছে, অস্ত্র নিয়ে-ট্রেনিং নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। তাদের একটি তালিকা। আরেকটি হচ্ছে, যারা রাজাকার হিসেবে নাম দিয়ে রেখেছে জীবন বাঁচানোর জন্য। তখন হয়তো কিছু বলার ছিল না। এগুলো নিয়ে এখন খুবই বিভ্রান্তি-দ্বিমত হচ্ছে।

Nagad

তিনি বলেন, রাজাকারের তালিকা তৈরির কাজটি জটিল, তারপরও শাজাহান খান সাহেবের নেতৃত্বে কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। ওনারা কাজ করছেন। ওই কমিটি তালিকা পাঠালে আমরা সেটি প্রকাশ করব।

আগামী মে মাসের মধ্যেই মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন হবে জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি, রমজান মাসের পরেই নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা করা হবে। মে মাসের মধ্যেই নির্বাচন হয়ে যাবে। তবে এটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের যে সমস্ত কাজকর্ম চলছে, যেমন- বদ্ধভূমি, যুদ্ধকালীন ঐতিহাসিক স্থান সংরক্ষণ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস, সে সমস্ত কাজকর্ম যেন যথাযথভাবে হয়। সেজন্য তাদের (ডিসি) তদারকি-তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের যেসব সমস্যা আছে বা কিছু নিয়ে গেলে সেগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সম্মেলনে আলোচনার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা বীর নিবাসসহ বিভিন্ন বিষয়ে কোনো ন্যায়সঙ্গত দাবি-দাওয়া নিয়ে গেলে জেলা প্রশাসকরা যেন গুরুত্বের সঙ্গে দেখেন, সেটা বলেছি। তারা একে তো বীর মুক্তিযোদ্ধা, তারা এই রাষ্ট্রের সিনিয়র সিটিজেনও। তাদের যেন যথাযোগ্য মর্যাদা দেওয়া হয়, এ বিষয়ে ডিসিদের বলেছি।