বাঘসহ অন্যান্য প্রাণীর রোগ নির্ণয়, সুন্দরবনে যাবেন গবেষকরা

প্রথমবারের মতো সুন্দরবনে বাঘসহ বনের অন্যান্য প্রাণীদের রোগনির্ণয়ে গবেষণা শুরু হচ্ছে। দু-এক দিনের মধ্যেই সুন্দরবনের চারটি রেঞ্জের আওতাধীন ৬৫টি গবেষণা প্লট থেকে নমুনা সংগ্রহ করবেন গবেষকেরা। গবেষণাটি করা হচ্ছে ‘সুন্দরবনে বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের’ আওতায়।

রোববার (১০ মার্চ) তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন করমজল বন্যপ্রাণী ও ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির।

আজাদ কবির বলেন, “বাংলাদেশের ইতিহাসে বনে থাকা কোনো প্রাণীর রোগনির্ণয়ের গবেষণা এটাই প্রথম। ফলে বাঘ, হরিণ, বানর, শূকরের মতো প্রাণীরা কোনো ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত আছে কি না, সে ব্যাপারে তথ্য পাওয়া যাবে। আর যদি আক্রান্ত থাকে, তাহলে কী করলে এসব রোগ থেকে রক্ষা পেতে পারবে, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।”

আজাদ কবির আরও বলেন, “গবেষণার জন্য নমুনা হিসেবে বাঘের মল, লোম, হাড় এবং হরিণ, বানর ও শূকরের দেহের বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া বনের কাছাকাছি লোকালয়ের কুকুর ও বিড়ালের রক্ত নমুনা হিসেবে সংগ্রহ করা হবে। বাঘ, হরিণ, বানর ও শূকরের যে ধরনের সংক্রমণ হচ্ছে, লোকালয়ের প্রাণীরও সে ধরনের সংক্রমণ হচ্ছে কি না, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করবেন গবেষকেরা। পাশাপাশি বাঘের জিনগত বৈশিষ্ট্য নিয়েও গবেষণা করবেন তারা।”

‘সুন্দরবনে বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের’ পরিচালক ও সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, “বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় রয়েছে বাঘ ও এর খাদ্য, রোগনির্ণয়। সেই গবেষণা কাজই শুরু করা হচ্ছে। বাংলাদেশে এ ধরনের গবেষণা এটাই প্রথম। গবেষণা কর্মটি বাঘের ভবিষ্যৎ বংশবৃদ্ধিতে এবং টিকে থাকায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বনের মধ্যে যে বাঘ মারা যাচ্ছে, তা কোনো রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে নাকি অন্য কোনো কারণে মারা যাচ্ছে, তা এ গবেষণা থেকে জানা যাবে।”

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের আয়তন ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে বনভূমি ৪ হাজার ৮৩২ এবং জলাভূমি ১ হাজার ১৮৫ বর্গকিলোমিটার।

Nagad

১৯৯৭ সালের তথ্যানুযায়ী, এই বনভূমির স্থলে ২৮৯ প্রজাতির প্রাণীর বসবাস। এছাড়া ২১৯ প্রজাতির জলজ প্রাণী বাস করে