জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা,দোষীর শাস্তি চেয়ে সহপাঠীদের বিক্ষোভ

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:১৪ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১৬, ২০২৪

ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লায় গ্রামের বাড়িতে আত্মহত্যা করেছেন রাজধানীর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের ছাত্রী ফাইরুজ অবন্তিকা। এ ঘটনায় গভীর রাতে দোষীদের শাস্তির দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার পর থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে এ বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জবি প্রক্টরসহ প্রক্টোরিয়াল বডিকে ঘিরে রাখতে দেখা যায়। শিক্ষার্থীরা অতিদ্রুত অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে অবন্তিকা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। তিনি এক সহপাঠীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিসহ নানা ধরনের নিপীড়নের অভিযোগ করেন। ওই পোস্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে সেই ছেলের পক্ষ নিয়ে তার সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগও করেন অবন্তিকা।

জানা গেছে, মৃত ছাত্রী ফাইরুজ অবন্তিকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে প্রথমে ফেসবুকে পোস্ট দেন। এরপর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে তাকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, তিনি মারা গেছেন।

অবন্তিকার লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ মর্গে রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফিরোজ হোসেন।

এদিকে অবন্তিকার আত্মহত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার পর থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে রাত ১টার দিকে ক্যাম্পাসে আসেন উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম।

Nagad

এ সময় অবন্তিকার ওই সহপাঠীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার এবং ওই সহকারী প্রক্টরকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

উপাচার্য এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে আমাকে দেওয়া ক্ষমতায় অভিযুক্তদের সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছি। এই ঘটনার সকল বিষয়ে আমলে নিয়ে, তদন্ত ব্যাপক পরিসরে করব। তিনি আরও বলেন, যারা দায়িত্বে অবহেলা করেছে তাদের চিহ্নিত করা হবে। আর প্রতিবেদন পাওয়া মাত্র তাদের বহিষ্কারের ব্যবস্থা নিব।