জিম্মি আবদুল্লাহসহ নাবিকদের নিয়ে সর্বশেষ পরিস্থিতি যা জানা গেলো

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:৫৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৭, ২০২৪

ভারত মহাসাগর থেকে সোমালিয়া দস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী এমভি আবদুল্লাহর সর্বশেষ পরিস্থিতি জানিয়েছে জাহাজটির কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। তবে দস্যুদের কাছ থেকে কোনো সাড়া পাননি তারা।

এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২৩ নাবিক ও ক্রুসহ ছিনতাই হওয়া আবদুল্লাহকে উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন ‘পার্টির’ সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।

গত মঙ্গলবার মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা বোঝাই করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে উদ্দেশ্যে রওনা হয় চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসায়ী কবির গ্রুপের জাহাজটি। পথে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে। মোগাদিসু থেকে এক হাজার ১১১ কিলোমিটার পূর্বে ভারত মহাসাগর থেকে ছিনতাই করে বাণিজ্যিক কার্গো জাহাজটিকে প্রথমে নেয়া হয় সোমালিয়ার গারাকাড এলাকায়। উপকূল থেকে প্রায় ৩৭ কিলোমিটার দুরে নোঙর ফেলা হয়।

এক পর আবার অবস্থান বদলে আবদুল্লাহকে নেয়া হয় গদবজিরান উপকূল এলাকায়। এবার নোঙর ফেলা হয় উপকূলের আরো কাছে, মাত্র সাড়ে ৭ কিলোমিটার দুরে।

কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম রোববার বলেন, গতকাল (শনিবার) রাত আটটার দিকে নাবিকদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে।‘তারা জানিয়েছেন, সবাই ভালো আছেন, তবে একটু চিন্তাগ্রস্ত। তাদেরকে এর আগেরদিন কেবিনে থাকতে দিলেও সবাইকে জড়ো করা হয়েছে জাহাজের ব্রিজে,’ যোগ করেন তিনি।

মিজানুল বলেন, তবে আমাদের সঙ্গে দস্যুদের কোনো যোগাযোগ হয়নি। আমরা আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

Nagad

এর আগে আন্তর্জাতিক জলসীমায় বাংলাদেশের বাণিজ্যিক জাহাজ ছিনতাই হয়েছিলো ২০১০ সালের ডিসেম্বরে। আরব সাগর থেকে সোমালিয়ার জলদস্যুরা ২৭ নাবিকসহ এমভি জাহান মণি নামের ওই জাহাজ জিম্মি করে নিজেদের জলসীমায় নিয়ে যায়।

জাহান মণিও কবির গ্রুপের জাহাজ। তখন মালিকপক্ষ দস্যুদের সঙ্গে আপোস-রফা করে ১০০ দিন পর নাবিকসহ জাহাজটি ফিরিয়ে এনেছিলো। এমভি আবদুল্লাহর সব নাবিক ও ক্রুদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়ে নৌ পরিবহণ মন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। রোববার তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত বিভিন্ন পার্টির সাথে আলোচনা চলছে। সবাইকে নিরাপদ ভাবেই ফিরিয়ে আনা হবে।। তবে কতোদিন সময় লাগবে, তা ঠিক বলা যাচ্ছে না।

৩৫ জলদস্যুর আত্মসমর্পণ, ১৭ নাবিকসহ জিম্মি জাহাজ উদ্ধার ৩৫ জলদস্যুর আত্মসমর্পণ, ১৭ নাবিকসহ জিম্মি জাহাজ উদ্ধার জিম্মি জাহাজের ক্যাপ্টেন ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদের বড় ভাইয়ের জানিয়েছেন, মালিকপক্ষ তাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, কোনো ক্ষয়ক্ষতি এড়িয়ে নাবিক ও জাহাজ উদ্ধারে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন।

আগের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে মালিকপক্ষ জিম্মি ঘটনার সফল সমাপ্তি টানতে পারবেন বলেও আশাবাদী তিনি। সূত্র: একাত্তর