জিম্মি এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে অভিযানের প্রস্তুতি চলছে

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:৪৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৮, ২০২৪

জিম্মি করা এমভি আবদুল্লাহতে সোমালিয়ার জলদস্যুদের দেখা যাচ্ছে। ইমেজ: হিন্দুস্তান টাইমস। জিম্মি করা এমভি আবদুল্লাহতে সোমালিয়ার জলদস্যুদের দেখা যাচ্ছে। ইমেজ: হিন্দুস্তান টাইমস।

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও অপহৃত নাবিকদের উদ্ধারে অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাণিজ্যিক জাহাজটি দস্যুদের কবলমুক্ত করতে সোমালি পুলিশ ও আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সোমালিয়ার একটি আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পান্টল্যান্ড থেকে অক্ষত অবস্থায় ১৭ জন ক্রুসহ সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে মাল্টার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি রুয়েনকে মুক্ত করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। এর আগে বেশ কয়েকটি জাহাজ ছিনতাইয়ের চেষ্টা ঠেকিয়ে দিয়েছে ভারতের বাহিনীটি। তবে রয়টার্স তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এবার এমভি আব্দুল্লাহ ও এর নাবিকদের বাঁচাতে অভিযানের খবর পাওয়া গেছে।

পান্টল্যান্ড সোমালিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, বাংলাদেশি জাহাজটি দখল করে থাকা জলদস্যুদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীর অভিযানের একটি পরিকল্পনা তারা জানতে পেরেছে। সে কারণে তারা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং অভিযানে অংশ নিতেও প্রস্তুত রয়েছে।

গত মঙ্গলবার মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা বোঝাই করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে উদ্দেশ্যে রওনা হয় চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসায়ী কবির গ্রুপের জাহাজটি। পথে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে।

মোগাদিসু থেকে এক হাজার ১১১ কিলোমিটার পূর্বে ভারত মহাসাগর থেকে ছিনতাই করে বাণিজ্যিক কার্গো জাহাজটিকে প্রথমে নেয়া হয় সোমালিয়ার গারাকাড এলাকায়। উপকূল থেকে প্রায় ৩৭ কিলোমিটার দুরে নোঙর ফেলা হয়।

Nagad

এক পর আবার অবস্থান বদলে আবদুল্লাহকে নেয়া হয় গদবজিরান উপকূল এলাকায়। এবার নোঙর ফেলা হয় উপকূলের আরো কাছে, মাত্র সাড়ে ৭ কিলোমিটার দুরে। রয়টার্স লিখেছে, গত সপ্তাহে সোমালিয়ার উপকূলে ছিনতাই করা হয় এমভি আবদুল্লাহকে। সোমালি জলদস্যুরা গত নভেম্বর থেকে ২০টিরও বেশি জাহাজে হামলা চালিয়েছে। এর আগে প্রায় এক দশক তারা চুপচাপ ছিলো।