কালরাত স্মরণ: ২৫ মার্চ রাতে এক মিনিট অন্ধকারে থাকবে পুরো দেশ

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২৩, ২০২৪

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। সেই দিনের শহীদদের স্মরণে আগামী সোমবার (২৫ মার্চ) এক মিনিট অন্ধকারে থাকবে পুরো দেশ। কেপিআই এবং জরুরি স্থাপনাগুলো অবশ্য এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।

‘জাতীয় গণহত্যা দিবস’ পালনে বিভিন্ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৫ মার্চ রাত ১১টা থেকে ১১টা ১ মিনিট পর্যন্ত সারাদেশে এক মিনিট আলো নিভিয়ে প্রতীকী ব্ল্যাকআউট পালন করা হবে।

শনিবার (২৩ মার্চ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

দিবসটি উপলক্ষে বাণী দেবেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে অনুষ্ঠিত হবে গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভা। দেশব্যাপী আয়োজন করা হবে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গীতিনাট্য এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।

এছাড়া, স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসাসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

বাঙালির মুক্তির আন্দোলনের শ্বাসরোধ করতে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে এ দেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে সেই অভিযানে কালরাতের প্রথম প্রহরে ঢাকায় চালানো হয় গণহত্যা।

Nagad

২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান।

অবশ্য তার আগেই ৭ মার্চ ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে এক জনসভায় বাঙালির অবিসংবাদিত এই নেতা বলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম- এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ কার্যত সেটাই ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা, যার পথ ধরে কালরাতের পর শুরু হয় বাঙালির প্রতিরোধ পর্ব।

নয় মাসের যুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ, আড়াই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি এবং জাতির অসাধারণ ত্যাগের বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়। বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে।

২০১৭ সালে জাতীয় সংসদে ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস পালনের প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হওয়ার পর থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে এ দিবস পালিত হয়ে আসছে।

ঢাকাসহ সব সিটি কর্পোরেশনগুলোতে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হবে।

এছাড়া ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এদিন বাদ জোহর বা সুবিধাজনক সময় বিশেষ মোনাজাত হবে দেশের সব মসজিদে। প্রার্থনা করা হবে অন্যান্য উপাসনালয়গুলোতেও। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করা হবে।