আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:৪৭ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৭, ২০২৪

আজ ৭ এপ্রিল; বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত প্রতিপাদ্যের আলোকে দিবসটি উদযাপন করছে বাংলাদেশও। এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্বাস্থ্যের অধিকার নিশ্চিতে: কাজ করি একসাথে’। প্রতিপাদ্যে গুণগত স্বাস্থ্যসেবা ও তথ্যপ্রাপ্তির মতো মৌলিক অধিকারের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে বৈশ্বিক অঙ্গীকারের সঙ্গে একাত্ম ঘোষণা করেছে। সরকার মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর। এজন্য স্বাস্থ্য খাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।

প্রধানমন্ত্রী বাণীতে বলেন, সরকার গত পনেরো বছরে চিকিৎসাসেবার মানোন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি, জনবল নিয়োগ, স্বাস্থ্য খাতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার আইন নীতিমালা প্রণয়নসহ এ খাতের উন্নয়নে কাজ করছে। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ গত কয়েক দশকে শিশু, মাতৃমৃত্যু ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হ্রাস এবং গড় আয়ু বৃদ্ধিতে সক্ষম হয়েছে।

ইপিআই কর্মসূচির আওতায় শিশু, কিশোরী ও নারীদের ১১টি রোগের টিকাদানে সফলতা পেয়েছে। করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে মোট জনগোষ্ঠীর ৯৪ শতাংশ মানুষকে টিকা দিয়েছে। ২০১৪ সালে পোলিওমুক্ত, ২০২৩ সালে কালাজ্বর ও ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল স্বীকৃতি পেয়েছে।

বর্তমানে দেশীয় চাহিদার ৯৮ ভাগ ওষুধ স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের পাশাপাশি বিশ্বের ১৯৭টি দেশে রপ্তানি করছে।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষার অধিকার মানুষের মৌলিক অধিকার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে সর্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজের লক্ষ্য প্রত্যেক মানুষ যেন অর্থ ব্যয় ছাড়াই প্রয়োজনীয় মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য পরিষেবা সহজে পেতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশ অংসক্রামক রোগ মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে।

Nagad

প্রসঙ্গত- ১৯৪৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সম্মেলন ডাকার সিদ্ধান্ত নেয় জাতিসংঘ অর্থনীতি ও সমাজ পরিষদ। একই বছরের জুন ও জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সম্মেলন। সেইসঙ্গে গৃহীত হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাংগঠনিক আইন। ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয় এই আইন। একইসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস হিসেবে নির্ধারিত হয় দিনটি।

দিবসটি ঘিরে প্রতিবছর সংস্থাটি এমন একটি স্বাস্থ্য ইস্যু বেছে নেয়, যা বিশেষ করে সারা পৃথিবীর জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। এ দিন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হয় এ দিবসটি।