তাপপ্রবাহ অব্যাহত, আরও ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ২:১৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২২, ২০২৪

ছবি: সারাদিন ডট নিউজ

রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে আগামী ৭২ ঘণ্টা বা তিন দিন ধরে এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে জানিয়ে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি আরও বাড়তে পারে বলেও সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে।

এদিকে -রোববার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কম ছিল। রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল চুয়াডাঙ্গায়। এছাড়া সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ঈশ্বরদীতে ৪২, টাঙ্গাইলে ৪০ দশমিক ৪, যশোরে ৪০ দশমিক ২, কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।

কিছুদিন ধরেই দেশব্যাপী গরম চরম আকার ধারণ করেছে। কোথাও কোথাও তাপপ্রবাহ তীব্র থেকে অতি তীব্র হয়েছে। গরমে কষ্ট পাচ্ছে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের মানুষ। তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও তাতে স্বস্তি ফেরেনি। সোমবারও দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমলেও তাতে খুব বেশি প্রশান্তি মিলবে না বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।

সোমবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

পাবনা ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাজশাহী, টাঙ্গাইল, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শ্রীমঙ্গল ও চাঁদপুর জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছেন বজলুর রশিদ।

Nagad

তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার সিলেট অঞ্চলের দু-এক জায়গায় ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবার এবং বুধবার দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

এদিকে এরই মধ্যে তীব্র গরমে পরিস্থিতি আমলে নিয়ে কাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

কর্তৃপক্ষ বলছে, হিট স্ট্রোক, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া প্রতিরোধে মেডিকেল কলেজ থেকে কমিউনিটি ক্লিনিক সব জায়গায় দেওয়া হয়েছে বিশেষ নির্দেশনা। জনসচেতনতায় নেওয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির সংবাদমাধ্যমকে বলেন, প্রতিটি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় খাবার স্যালাইন, প্রাথমিক পরিচর্যা, হিট স্ট্রোক হলে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চলতি বছর বিশ্বের সব চেয়ে উষ্ণতম বছর হতে পারে।