গৃহবধুকে মারধরের অভিযোগ, শরীরের যন্ত্রনা নিয়ে কাতরাচ্ছে হাসপাতালে

কলাপাড়ার মহিপুরে লাইজু বেগম (৩৫) নামের এক গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। গত শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে মহিপুর থানার ধুলাশ্বর ইউনিয়নের চরচাপলি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। লাইজু বেগম ওই এলাকার আল আমিন মিয়ার স্ত্রী। সোমবার দুপুর পর্যন্ত ওই গৃহবধূ শরীরের যন্ত্রণা নিযয়ে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) হাসপাতালের বিছানায় শয্যাসয়ী অবস্থায় গৃহবধূ লাইজু বেগম জানায়, তার স্বামী ঢাকায় চাকরির সুবাদে ঢাকাতেই থাকেন। তিনি তার ছোট পুত্র সন্তানকে নিয়ে চরচাপলি গ্রামের স্বামীর বাড়িতে বসবাস করেন। তার প্রতিবেশী দুদা মিয়া (৬০) প্রায়ই তার বাড়িতে পানি খাওয়ার কথা বলে যেতেন এবং তাকে বেশ কয়েকবার কুপ্রস্তাব দিয়েছেন। গত শনিবার বিকেলে দুদা মিয়া গরু বাঁধার কথা বলে তার বাড়িতে যান এবং তিনি লাইজু বেগমকে কুপ্রস্তাব দেন। এসময় লাইজু বেগম রাজি না হয়ে এর প্রতিবাদ করেন। পরে দুদা মিয়ার ছেলে জাকির ও নাতি রাকিবুল ইসলাম ওই বাড়িতে গিয়ে লাইজু বেগমকে বেধড়ক মারধর করেন। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা লাইজু বেগমেক উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।

এবিষয়ে জাকির মিয়া জানান, ওই নারী খারাপ প্রকৃতির লোক। তার বাড়ির পাশে আমাদের ডাল ক্ষেত রয়েছে। লাইজু বেগমের গরু ডাল খেতের মধ্যেই বাঁধেন। এলাকার অনেক মানুষের ডাল খেত নষ্ট করেছে তার গরু। গত শনিবার বিকেলে আমাদের ডাল খেতে লাইজু বেগমের গরু বাধা দেখে আমার বাবা গরুটি আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসতে চায়, এসময় লাইজু বেগম আমার বাবাকে অপমান অপদস্ত করে। পরে কেন বাবার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে এ বিষয় জানতে চাইলে লাইজু বেগম আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। এসময় আমার ভাইয়ের ছেলে রাকিবুল লাইজু বেগমেক একটি লাঠি দিয়ে বাড়ি দেয়। পরে স্থানীয়রা আমার ভাইয়ের ছেলেকে সরিয়ে দেয়।

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার জানায়, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।