বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজ পড়ছে বিভিন্ন জেলার মানুষ, যেভাবে পড়বেন

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:১৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৩, ২০২৪

সারাদেশের তীব্র দাবদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এ অবস্থা থেকে সহসাই মুক্তি মিলছে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এমন পরিস্থিতিতে পরিত্রাণের জন্য আল্লাহর কাছে বৃষ্টি চেয়ে তওবা, ইস্তিস্কার নামাজ ও দোয়া আদায় করেছেন রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলার মুসলমানরা । এসময় হাজার মুসল্লি নামাজে অংশ নেন।

আজ রাজধানীর আফতাবনগরে বৃষ্টির কামনায় নামাজ আদায় করেছেন মুসলমানরা। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আফতাবনগর ঈদগাহ মাঠে সালাতুল ইস্তিসকার সালাত আদায় করেন মুসল্লিরা। মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে বৃষ্টির চেয়ে অনুষ্ঠিত এ নামাজে ইমামতি করেন প্রখ্যাত ইসলামি চিন্তাবিদ ও জনপ্রিয় বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ। নামাজ শেষে চোখের পানি ছেড়ে দু হাত তুলে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য ফরিয়াদ জানিয়ে দোয়া মোনাজাত করা হয়।

এছাড়াও সারাদেশের মতো লালমনিরহাট জুড়েও তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত। পরিত্রাণের জন্য আল্লাহর কাছে বৃষ্টি চেয়ে তওবা, ইস্তিস্কার নামাজ ও দোয়া আদায় করেছেন হাতীবান্ধার মুসলমানরা।

এছাড়াও কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে তীব্র তাপদাহ থেকে রক্ষা পেতে এবং বৃষ্টির প্রত্যাশা করে ইস্তিসকার নামাজ আদায় শেষে বিশেষ মোনাজাত হয়েছে।

এছাড়াও রাজবাড়ির বালিয়াকান্দিসহ বিভিন্ন স্থানে ইসতিস্কার নামাজ আদায় করেছে মানুষ।

যেভাবে পড়বেন

Nagad

যখন বৃষ্টির প্রবল প্রয়োজন হয় তখন সালাতুল ইস্তিস্কা আদায় করা মুস্তাহাব। তা আদায়ের হক পদ্ধতি হলো, নামাজের ইমাম একটি দিন নির্ধারণ করবেন। সেই দিন তিনি সব লোকদের নিয়ে অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে বনে অথবা খোলা কোনো প্রান্তে যাবেন। সেখানে আজান-ইকামাত ছাড়া দুই রাকাত নামাজ আদায় করবেন। নামাজে উচ্চস্বরে কিরাত পাঠ করবেন।

নামাজের পরে খুতবা দিবেন এবং খুতবার শুরুতে চাদর ঘুরিয়ে দিবেন। তারপর কেবলার দিকে দাঁড়িয়ে দুহাত তুলে দোয়া করবেন। মুসল্লিরা সবাই বসে বসে আমিন বলবে।

টানা তিনদিন ইস্তিস্কার জন্য বের হওয়া মুস্তাহাব। (দারুল উলূম দেওবন্দের মুস্তাফাদ ফাতাবী: ৫/২৩৮, ২১৪ নং ফতোয়াতে উদৃত হয়েছে)।

বৃষ্টির নামাজে বিনয়-নম্রতার সঙ্গে গমন করা সুন্নত। একমাত্র আল্লাহ তাআলাই যে বান্দার সব প্রয়োজন পূরণ করেন—এই বিশ্বাস অন্তরে জাগ্রত রাখতে হবে।

এদিকে দেশে তীব্র দাবদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এ অবস্থা থেকে সহসাই মুক্তি মিলছে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এমন পরিস্থিতিতে তীব্র গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে চার দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

নির্দেশনাগুলো হলো–

১. তীব্র গরম থেকে দূরে থাকুন, মাঝে মাঝে ছায়ায় বিশ্রাম নিন।

২. প্রচুর পরিমাণে নিরাপদ পানি পান করুন। হেপাটাইটিস এ, ই, ডায়রিয়াসহ প্রাণঘাতি পানিবাহী রোগ থেকে বাঁচতে রাস্তায় তৈরি পানীয় ও খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে একাধিকবার গোসল করুন।

৩. গরম আবহাওয়ায় ঢিলেঢালা পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন, সম্ভব হলে গাঢ় রঙিন পোশাক এড়িয়ে চলুন।

৪. গরম আবহাওয়ায় যদি ঘাম বন্ধ হয়ে যায়, বমি বমি ভাব দেখা দেয়, তীব্র মাথাব্যথা হয়, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, প্রস্রাব কমে যায়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়, খিঁচুনি এবং অজ্ঞান হওয়ার মতো কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে হাসপাতালে যান এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন।