যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩.৮ ডিগ্রি, তিন দশকে সর্বোচ্চ

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৫:২৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩০, ২০২৪

দেশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এটি দেশের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

খুলনা আবহাওয়া অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন-মঙ্গলবার যশোরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি, সাতক্ষীরায় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি, মোংলায় ৪২ ডিগ্রি, পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে তীব্র তাপপ্রবাহে নাজেহাল হয়ে পড়েছে জনজীবন। গরমে বিপাকে পড়েছেন কৃষক, দিনমজুর, যানবাহন চালকসহ নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষেরা।

গত সোমবারও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়, ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলায় মঙ্গলবার সকাল থেকেই ঝাঁঝালো রোদ দেখা যায়। তীব্র তাপমাত্রার পাশাপাশি আছে লু হাওয়া। গরম বাতাসে চোখমুখ ঝলসে যাচ্ছে। মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। হাসপাতালে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর চাপ বেড়েছে। ধারণক্ষমতার বেশি রোগী ভর্তি থাকছে হাসপাতালে।

স্থানীয়রা জানান, কয়েক দিনের গরমে রাস্তায় চলাফেরা করতে কষ্ট হচ্ছে। ফ্যানের বাতাসও অনেক গরম। রাতের বেলায় ফ্যানের বাতাসেও শরীরের ভিজে যাচ্ছে। এ জন্য রাতেও ঘুমাতে পারছেন না তারা। টিউবওয়েলের পানিও অনেক গরম। তাই পানি খেয়েও পিপাসা মিটছে না।

শ্রমিকেরা জানান, দিনের বেলায় অতিরিক্ত গরমে কাজ করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। রাতে বাড়িতে গিয়েও ঘুমাতে পারছেন না তাঁরা। ফলে পরের দিন আবারও কাজে গিয়ে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। টানা তাপপ্রবহের কারণে ব্যাহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।

Nagad

যশোর সদর উপজেলার চাচড়া নারায়ণপুর গ্রামে হরিণা বিলে ধান কেটে ঘরে তুলছিলেন দিলদার মোল্লা। তিনি বলেন, এই গরমে রোদে থাকা অনেক কষ্টের। এরপরও কষ্ট করে ধান কাটতে হচ্ছে।

এদিকে তাপজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকে হাসপাতালে ডায়েরিয়া, জ্বর, সর্দি-কাশি, টাইফয়েড নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন। এ সকল রোগীদের সেবা দেওয়ার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে দাবদাহ থেকে সুস্থ থাকতে নানা পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আব্দুস সামাদ বলেন, দাবদাহ থেকে সুস্থ থাকতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। বের হলেও ছাতা ব্যবহার করতে হবে। বেশি করে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। কোনো রকম তাপজনিত অসুস্থতা বোধ করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।