রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দিলেন কোটা আন্দোলনের প্রতিনিধি দল

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৩:২৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৪, ২০২৪

সরকারি চাকরিতে কোটার যৌক্তিক সংস্কার করে জাতীয় সংসদে আইন পাসের দাবিতে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। রবিবার (১৪ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে ১২ সদস্য বিশিষ্ট শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দিতে যান। পুলিশ সদস্যরা তাদেরকে ভেতরে নিয়ে যান।

এর আগে রাজধানীর জিরো পয়েন্টে ব্যারিকেড দিয়ে রাখে পুলিশ সদস্যরা। সামনে এগোতে না পেরে সেখানে শিক্ষার্থীরা বসে পড়েন। একপর্যায়ে তারা ব্যারিকেড ভেঙে বঙ্গভবনের দিকে রওনা হন। আজ রোববার (১৪ জুলাই) দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পূর্ব ঘোষিত এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে এদিন সকাল ১১টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে জড়ো হন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। এতে স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।

সেখান থেকে দুপুর ১২টার দিকে গণপদযাত্রা নিয়ে বঙ্গভবন অভিমুখে যাত্রা করেন তারা।

সংসদে জরুরি অধিবেশন ডেকে সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে শুধুমাত্র পিছিয়ে পড়া/অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যূনতম (সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ) আইন পাশ করতে হবে—এই এক দফা দাবিতে এ গণপদযাত্রা করছেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা।

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির বিরুদ্ধে গত দুই সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা। গত ৭ জুলাই থেকে ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়। এতে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়, প্রধান মহাসড়ক এবং রেলপথ অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন তারা।

Nagad

আজকের গণপদযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন।

গণপদযাত্রায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘দফা এক দাবি এক, কোটা নট কাম ব্যাক’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘মেধাবীদের ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘কোটা প্রথা, বাতিল চাই বাতিল চাই’, ‘কোটা প্রথার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।