রণক্ষেত্র মুন্সিগঞ্জ: আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ, নিহত ২
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে মুন্সিগঞ্জ জেলা শহরের সুপার মার্কেট এলাকা। সংগৃহীত ছবি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে মুন্সিগঞ্জ জেলা শহরের সুপার মার্কেট এলাকা। এ সময় পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে অন্তত দুজন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন।
রোববার (৪ আগস্ট) সকালে সংঘর্ষে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।


বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক মো. আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল। তিনি বলেন, ‘তাদের নামপরিচয় এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। নিহত দুজনই পুরুষ এবং তারা পেশায় শ্রমিক। তাদের বয়স ২২ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে হবে। জরুরি বিভাগে ২০ জনের বেশি আহত মানুষ এসেছেন।’
রোববার সকাল থেকে মুন্সিগঞ্জ জেলা শহরের সুপার মার্কেট এলাকায় সংঘর্ষ চলছে। এদিন সকাল ১০টা থেকে চলছে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া। এখন পর্যন্ত অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধের খবর পাওয়া গেছে। তবে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আহতদের মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, ছাত্র হত্যার প্রতিবাদসহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেন আন্দোলনকারীরা। আর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে একই চত্বরে অবস্থান নেন দলীয় কর্মীরা। সকাল ১০টার দিকে কৃষি ব্যাংক চত্বর থেকে শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা মিছিল বের করলে ধাওয়া দেন দলীয় কর্মীরা। পরে শিক্ষার্থীরা পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে শুরু হয় সংঘাত৷ এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি চালানোর ঘটনা ঘটলে কৃষি ব্যাংক চত্বরসহ সুপারমার্কেট এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। চলতে থাকে দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টাধাওয়া চলাকালে বেলা ১১টা পর্যন্ত গুলিবিদ্ধি হন অন্তত ১০ জন।
এ সময় টিয়ারশেল ছুড়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিত। বিক্ষোভকালে সড়কে টায়ার ও আগুন জ্বালাতে দেখা গেছে।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠনটির সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ ঘোষণা দেন। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ থেকেই রাজপথে অবস্থান নেওয়া এবং পুরো আগস্টজুড়ে রাজপথে অবস্থান অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।