শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে : চিফ প্রসিকিউটর
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অপরাধী বিনিময় চুক্তি রয়েছে। সেই চুক্তির আলোকে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করা। তিনি বলেন-শেখ হাসিনার বিচারের ফরমাল তদন্ত এখনও শুরু হয়নি। তবে শুধু শেখ হাসিনা নয় এই গণহত্যার সঙ্গে যারাই জড়িত ছিল সবার বিরুদ্ধেই আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ট্রাইব্যুনালে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গণহত্যার এভিডেন্স নষ্ট হওয়ার আগেই সংরক্ষণ করা বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা দেশবাসীর কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, আলামত নষ্ট হওয়ার আগেই যার কাছে গণহত্যা, নির্যাতনের যে এভিডেন্স আছে আপনারা ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের কাছে বা তদন্ত সংস্থার কাছে জমা দিন।
তিনি আরও বলেন, জুলাই মাসে যেই গণহত্যা হয়েছে এর প্রমাণ বিভিন্নভাবে ধ্বংস করা চেষ্টা করা হচ্ছে। এটিকে সংরক্ষণ করে আইনি কাঠামোর মধ্যে নিয়ে এসে মামলাগুলো প্রমাণের যেই কাজ সেটি এখন আমাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, আমরা মাত্র দায়িত্ব নিয়েছে। খুব দ্রুত গণহত্যার তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করবো। যেন আলামত নষ্ট না হয় আর যারা সম্ভাব্য আসামি তারা যেন আইনের বাহিরে চলে যেতে না পারে, দেশ ছেড়ে চলে যেতে না পারে। কোর্ট বসলে শেখ হাসিনাসহ সম্ভাব্য আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাইব।
তিনি বলেন, আওয়ামী স্বৈরাচার আমলে সিস্টেমেটিক অপরাধ গঠিত হয়েছে, গণহত্যা করেছে, তারই বিচার করতে প্রসিকিউশন টিম পুনর্গঠন করা হয়েছে। প্রসিকিউটর টিম ক্রমান্বয়ে বাড়বে। প্রথম কাজ হবে, আলামত সংগ্রহ করা। যা নষ্ট করার অপচেষ্টা করছে দোসররা।
এক প্রশ্নের জবাব নবনিযুক্ত চিফ প্রসিকিউটর বলেন, শেখ হাসিনাসহ যত প্রভাবশালী আসামিই হোক না কেন সবার সঙ্গে সমান আচরণ করা হবে। কারো প্রতি যেমন জুলুম করা হবে না, তেমনি কাউকে ছাড়ও দেওয়া হবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ট্রাইব্যুনালের গাজী এম এইচ তামিমসহ অন্যান্যরা। ট্রাইব্যুনালে বর্তমানে বিচারাধীন মামলার কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রসিকিউটর তামিম বলেন, তারা যেন ন্যায় বিচার পান তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হবে।