১ মিলিয়ন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাকে ডিজিটালাইজ করবে প্রিয়শপ
সম্প্রতি দেশের শীর্ষস্থানীয় বি-টু-বি মার্কেটপ্লেস এবং স্মার্ট ডিস্ট্রিবিউশন প্ল্যাটফর্ম প্রিয়শপ-এ সফর করেছেন সিঙ্গাপুরিয়ান বিনিয়োগকারী এবং এক্সিলারেটিং এশিয়া এঞ্জেল জেমস অ্যাং। প্রিয়শপের প্রথমদিকের বিনিয়োগকারী এবং বোর্ড সদস্য হিসেবে জেমস অ্যাং-এর এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল প্রিয়শপ-এর কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করা এবং এমএসএমই খাতে প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের প্রয়াসকে আরও শক্তিশালী করা।
সফরকালে জেমস অ্যাং বলেন, “বাংলাদেশে এসে প্রিয়শপ-এর কাজ প্রত্যক্ষ করা ছিল একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা। এমএসএমই খাতে প্রিয়শপ যে বিপ্লব ঘটাচ্ছে তা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। আমি গর্বিত যে আমি এই যাত্রার অংশ হতে পারছি এবং প্রিয়শপ-এর মাধ্যমে স্থানীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারছি।”
সফরকালে তিনি প্রিয়শপ-এর নেতৃত্বস্থানীয় কর্মকর্তা, কর্মী এবং গ্রাহকদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বিভিন্ন হাব, স্থানীয় বাজার এবং গ্রাহকদের সাথে সরাসরি কথা বলে প্রিয়শপ-এর কার্যক্রম এবং এমএসএমই খাতের জন্য এর সেবা সম্পর্কে আরও গভীর ধারণা লাভ করেন।
বাংলাদেশের অর্থনীতি গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, যেখানে বার্ষিক জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৬% এরও বেশি। দেশের তরুণ জনগোষ্ঠী এবং ডিজিটালাইজেশনের দিকে এগিয়ে যাওয়া প্রক্রিয়ায় প্রিয়শপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
প্রিয়শপ-এর ভূমিকা প্রসঙ্গে জেমস অ্যাং বলেন, “প্রিয়শপ যে এমএসএমই -এর ডিজিটালাইজেশন এবং অর্থায়নের সুবিধা প্রদান করছে, তা এই খাতের ব্যবসায়ীদের জন্য অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধন করছে। প্রিয়শপ-এর প্ল্যাটফর্ম ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে।”
প্রিয়শপ-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও আশিকুল আলম খাঁন বলেন, “জেমস অ্যাং আমাদের উদ্যোগে বিশ্বাসকারী ও সমর্থকদের মধ্যে প্রথম একজন, যিনি শুধুমাত্র বিনিয়োগ করেননি, বরং আমাদের প্রতি পদক্ষেপে উৎসাহ ও সহায়তা দিয়েছেন। আমাদের লক্ষ্য ১ মিলিয়ন ক্ষুদ্র খুচরা ব্যবসায়কে ডিজিটালাইজ করা এবং একটি শক্তিশালী ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা।”