ঢাকা টেস্ট: ১০১ রানে পিছিয়ে দিন শেষ বাংলাদেশের
বিপদে পড়তে পারতো বাংলাদেশ। দিনের শেষ সময়ে এসে ডাউন দ্য উইকেটে গিয়ে ছক্কা হাঁকাতে চেয়েছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক কাইল ভেরেন বল হাতে নিয়ে লাগাতে সময় নিয়ে ফেলেন অনেকটা। তবে, শেষ বিকেলে বাংলাদেশের বিপদ বাড়তে দেননি জয় ও মুশফিকুর রহিম। দুজনের অবিচ্ছিন্ন ৪২ রানের জুটিতে বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ ছাড়ায় ১০০ রান। আলোকস্বল্পতার কারণে একটু আগেই শেষ করা হয় দ্বিতীয় দিনের খেলা। জয় ৩৮ ও মুশফিক ৩১ রানে অপরাজিত আছেন। বলা চলে, হতাশা কাটিয়ে স্বস্তি নিয়েই দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ
মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটে ১০১ রান নিয়ে শেষ করে দ্বিতীয় দিন। জয় ৩৮ আর মুশফিকুর রহিম ৩১ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন। বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে ১০১ রানে।
২০২ রানের লিডের বোঝা মাথায় নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৪ রানে দুটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৭ বলে মাত্র ১ রান করে ফেরত যান ওপেনার সাদমান। এরপর ৩ বলে ০ রানে আউট হন মুমিনুল হক।
দুই বাঁহাতিকেই ফেরান দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসো রাবাদা। তৃতীয় ওভারের প্রথম ও চতুর্থ বলে তাদেরকে সাজঘরের পথ দেখান ডানহাতি প্রোটিয়া পেসার।
সাদমান ক্যাচ তোলেন শর্ট লেগে টনি ডি জর্জির হাতে। আর মুমিনুল খোঁচা দিয়ে ধরা পড়েন তৃতীয় স্লিপে ফিল্ডিং করা উইয়ান মুলদারের হাতে।
প্রথম ইনিংসেও ব্যর্থ ছিলেন সাদমান আর মুমিনুল। ডাক (৪ বলে ০) মেরেছিলেন সাদমান। মুমিনুল আউট হয়েছিলেন ৪ রানে।
বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর দৃষ্টিকটু আউটের নজির ভুরি ভুরি। ভালো খেলতে খেলতে অনেক সময়ই দেখা যায়, খুবই সাধারণ একটি বলে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন।
মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ৭। দ্বিতীয় ইনিংসে তার উইলো থেকে এলো ২৩ রান। কেশভ মহারাজের ঘূর্ণি ডিফেন্ড করতে গিয়েও পারেননি শান্ত। সরাসরি পা দিয়ে বল আটকে দেন। আম্পায়ার আঙুল তুলে দিতে ভুল করেননি।
৪৯ বলে ২ বাউন্ডারিতে ২৩ রান করেন শান্ত। তার আগে মাহমুদুুল হাসান জয়কে নিয়ে ৯৮ বলে ৫৫ রানের জুটি গড়েছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার শেরে বাংলাায় ৬ উইকেটে ১৪০ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর কাইল ভেরেইনের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৩০৮ রান করে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৪৪ বলে ১১৪ রানের ইনিংস খেলেন ভেরেইন।
বাংলাদেশের হয়ে ১২২ রান খরচায় ৫ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। ৩ উইকেট নেন হাসান মাহমুদ ও ২টি উইকেট শিকার করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
এর আগে ব্যাটিং ব্যর্থতায় প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০৬ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় দিন শেষে সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস : ২৭.১ ওভারে ১০১/৩ (জয় ৩৮*, সাদমান ১, মুমিনুল ০, শান্ত ২৩, মুশফিক ৩১*; রাবাদা ৭-৩-১০-২, মাল্ডার ৭-১-২৩-০, মহারাজ ৯-০-৩৩-১, পিয়েট ৪.১-০-২৯-০)
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংস : ৩০৮/১০।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস : ১০৬/১০।