সম্পদের হিসাব না দিলে সরকারি চাকরিজীবীদের যেসব শাস্তি হতে পারে
সরকারি কর্মচারীদের জন্য সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নির্ধারিত ছকে এ বিবরণী জমা দিতে হবে। সময়মতো দাখিল না করলে কিংবা ভুল তথ্য প্রদান বা তথ্য গোপন করলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নির্ধারিত শাস্তির মধ্যে রয়েছে তিরস্কার, পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি স্থগিত, বেতন গ্রেড অবনমিতকরণ, বাধ্যতামূলক অবসর, চাকরি থেকে অপসারণ বা বরখাস্ত।


সব সরকারি কর্মচারীর জন্য এ নির্দেশনা প্রযোজ্য এবং সম্পদ বিবরণীর তথ্য গোপনীয় রাখা হবে।
যে কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করতে হবে:
ক. ক্যাডার বা নন-ক্যাডার (নবম বা তদূর্ধ্ব গ্রেড) কর্মকর্তা তার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিবের নিকট সম্পদ-বিবরণী দাখিল করবেন।
খ. গেজেটেড বা নন-গেজেটেড কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ (১০ম গ্রেড থেকে ২০তম গ্রেড) নিজ নিজ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের নিকট তাদের সম্পদ-বিবরণী দাখিল করবেন।
জমা প্রদান প্রক্রিয়া:
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত নির্ধারিত ছকে সম্পদ-বিবরণী দাখিল করতে হবে। ছকটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর বা সংস্থার নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা যাবে। পরে সম্পদ-বিবরণীটি সিলগালাকৃত খামে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দিতে হবে।
সম্পদ-বিবরণী প্রদানের সময়সীমা:
সব সরকারি কর্মচারীকে প্রতি অর্থবছরের সম্পদ-বিবরণী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দাখিল করতে হবে। তবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ক্ষেত্রে সম্পদ-বিবরণী আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে দাখিল করতে হবে।
সম্পদ-বিবরণী দাখিল না করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা:
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ-বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে অথবা কোনো ভুল তথ্য প্রদান কিংবা তথ্য গোপন করা হলে বা সম্পদের কোনোরূপ অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হলে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রযোজ্যতা:
এই অনুশাসনমালা সব সরকারি কর্মচারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
গোপনীয়তা সংরক্ষণ:
ক. আদালতের আদেশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত সম্পদ-বিবরণীর তথ্য সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ হস্তান্তরযোগ্য নয়।
খ. সম্পদ-বিবরণী অতি গোপনীয় দলিল বিধায় এক্ষেত্রে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ প্রযোজ্য হবে না।
পরিবর্তন ও পরিমার্জন:
প্রয়োজনের নিরিখে এই নিয়মাবলি সরকার সময়ে সময়ে পরিবর্তন ও পরিমার্জনের এখতিয়ার সংরক্ষণ করে।