ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদা হচ্ছে সাত কলেজ

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৬:০৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৭, ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের স্নাতক ভর্তি কার্যক্রম আর ঢাবির অধীনে হবে না। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

আজ (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে ঢাবি উপাচার্যের সভাপতিত্বে এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সাত কলেজের সম্মানজনক পৃথকীকরণ এবং পরবর্তী কার্যক্রমের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ:
১. ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে সাত কলেজের স্নাতক ভর্তি কার্যক্রম ঢাবি থেকে পৃথক করা হবে।
২. শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি ভর্তির আসন সংখ্যা, ভর্তি ফি নির্ধারণসহ অন্যান্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
৩. বর্তমান শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম ঢাবির অধীনেই পরিচালিত হবে, যাতে তাদের শিক্ষাজীবনে কোনো সমস্যা না হয়।
৪. সকল পক্ষকে সম্প্রীতি বজায় রেখে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়।

ঢাবির জনসংযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এদিন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামে। দাবি বাস্তবায়নে তারা চার ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়। তাদের প্রধান দাবি ছিল, ঢাবি ও সাত কলেজের একাডেমিক সম্পর্ক চূড়ান্তভাবে অবসান এবং সাত কলেজের জন্য পৃথক রূপরেখা প্রণয়ন।

শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করেন, ঢাবির শিক্ষার্থীরা ইডেন কলেজসহ সাত কলেজের নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি কুরুচিপূর্ণ আচরণ করেছে। এর সুষ্ঠু বিচার এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তারা।

Nagad

ঢাবি প্রশাসন এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধারণ এবং সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে।

এর আগে, চলমান সংকট সমাধানে ভিসি অফিসের মিটিংরুমে বৈঠকে বসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসিসহ ঢাবির অধিভুক্ত সাত কলেজের অধ্যক্ষরা। এতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক মামুন আহমেদ, প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, সাত কলেজ সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা।

ঢাকা কলেজে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে ছয় দফা দাবি জানানো হয়। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদকে পদত্যাগ করতে ৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয় সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে রোববার দিবাগত রাতে হামলার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিচারের দাবিও জানান তারা।