কর্মবিরতিতে রেলওয়ে স্টাফরা, সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ
মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক সুবিধা পুনর্বহালের দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফ, শ্রমিক ও কর্মচারীরা। এতে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে তাদের এই কর্মসূচি শুরু হয়। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের আহ্বান উপেক্ষা করে রানিং স্টাফরা আন্দোলনে নামেন। এর ফলে রাত ১২টার পর শিডিউল থাকা কোনো ট্রেন আর ছেড়ে যায়নি। তবে রাত ১২টার আগের ট্রেনগুলো চলেছে।


বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক সাঈদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “আমাদের মাইলেজ সুবিধা এবং রানিং অ্যালাউন্স নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে, কিন্তু দাবি পূরণের কোনো আশ্বাস আমরা পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে কর্মবিরতিতে যেতে হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, সারাদেশে প্রায় ১,৭০০ রানিং স্টাফ কর্মচারী আছেন, যারা গার্ড, ট্রেনচালক, সহকারী চালক এবং টিকিট পরিদর্শক হিসেবে কাজ করেন। দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজের নির্ধারিত সময় থাকা সত্ত্বেও তাদের ১৫ ঘণ্টার বেশি কাজ করতে হয়। এজন্য অতিরিক্ত আর্থিক সুবিধা হিসেবে মাইলেজ দেওয়া হতো, যা ২০২২ সালের জানুয়ারিতে বাতিল করে অর্থ মন্ত্রণালয়।
রেলপথ মন্ত্রণালয় দাবি করেছে যে তারা রানিং স্টাফদের দাবিগুলো অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছে এবং সমস্যা সমাধানে আন্তরিক। তবে রেলওয়ে কর্মচারীরা মন্ত্রণালয়ের এই আশ্বাসকে উপেক্ষা করে আন্দোলনে অনড় রয়েছেন।
সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সাধারণ যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। অনেকেই রাতভর স্টেশনে অপেক্ষা করছেন। এদিকে, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের জন্য রানিং স্টাফদের প্রতি পুনরায় আহ্বান জানানো হলেও তা এখনও কার্যকর হয়নি।