অসম প্রতিযোগিতা বিমা খাতকে আরও সংকটে ফেলবে: বিআইএ সভাপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৫:২৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ১১, ২০২৫

সংগৃহীত ছবি

দেশের বিমা খাতে অসম প্রতিযোগিতা দিন দিন বাড়ছে, যা পুরো খাতকে আরও সমস্যার মুখে ফেলবে বলে সতর্ক করেছেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ)-এর সভাপতি সাঈদ আহমদ। তিনি এই সমস্যার সমাধানে নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

রাজধানীর পল্টনে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত ‘সিএমজেএফ টক’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

বিমা খাতের সংকট ও চ্যালেঞ্জ
সাঈদ আহমদ বলেন, দেশের অর্থনীতি দ্রুত বাড়লেও বিমা খাত কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারছে না। বর্তমানে বাংলাদেশে ৮০টি বিমা কোম্পানি রয়েছে—এর মধ্যে ৩৫টি জীবন বিমা এবং ৪৫টি সাধারণ বিমা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এত কিছুর পরও জিডিপিতে বিমা খাতের অবদান মাত্র ০.৫ শতাংশ, যেখানে প্রতিবেশী ভারতে ৪ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ১.২ শতাংশ এবং পাকিস্তানে ০.৮ শতাংশ।

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ পরবর্তী পরিস্থিতি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধ, ডলারের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি এবং অর্থনীতির অস্থিরতা বিমা খাতের অগ্রযাত্রায় বড় বাধা সৃষ্টি করেছে।

২০২৩ সালে বেসরকারি জীবন বিমা খাতের প্রিমিয়াম আয় ১১,৪৮৩.৫০ কোটি টাকা এবং লাইফ ফান্ডের পরিমাণ ছিল ৩২,১৫৩ কোটি টাকা। তবে এখনও এই খাত তার পূর্ণ সম্ভাবনা অর্জন করতে পারেনি বলে মনে করেন তিনি।

সমাধানের পথ কী?

Nagad

বিআইএ সভাপতি বলেন, বিমা খাতের টেকসই উন্নয়নে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া জরুরি: জনগণের আস্থা বৃদ্ধি ও দাবি নিষ্পত্তির স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, ব্যাংক ঋণগ্রহীতাদের জন্য জীবন বিমা বাধ্যতামূলক করা, বিমা খাতে ভ্যাট ও দ্বৈতকর হ্রাস করা, বেসরকারি খাতে পুনঃবিমা কোম্পানি গঠন, মটর ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলক করা, সরকারি-বেসরকারি স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের বিমা বাধ্যতামূলক করা।

তিনি বলেন, বিমা খাতে কোনো ধরনের দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। নিজে দুর্নীতি করবো না, অন্যকে দুর্নীতি করতে দেবো না।

তিনি আরও বলেন, কিছু প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির কারণে পুরো বিমা খাত প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে না। সরকারের নীতিগত সহায়তা পেলে এই খাতের আরও বিকাশ ঘটবে এবং জিডিপিতে বিমার অবদান বৃদ্ধি পাবে।