পরবর্তী প্রজন্মের জন্য রাখতে হবে টেকসই ও সমৃদ্ধ পৃথিবী: অধ্যাপক ইউনূস

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ২:৫৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২২, ২০২৫

বিশ্ব নানা সংকটে জর্জরিত উল্লেখ করে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এমন একটি পৃথিবী রেখে যেতে হবে—যেটি হবে সমৃদ্ধ, সবুজ, টেকসই এবং ভবিষ্যতের জন্য স্থিতিশীল। এই পৃথিবী গঠিত হবে জ্ঞান, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির সংমিশ্রণে।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনে (Earthna Summit) বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আজকের তরুণরাই ভবিষ্যতের উত্তরাধিকারী। তাদের পেছনে ফেলে আসা উচিত নয়। আমি নিজে তাদের মাঝে জনগণের অন্তর্ভুক্তি ও ক্ষমতায়নের এক রূপান্তরমূলক শক্তি দেখেছি। তরুণদের জাগরণই ভবিষ্যতের পরিবর্তনের পথ দেখাতে পারে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মানবাধিকারের প্রতি অবজ্ঞা এবং বিচারহীনতা যেকোনো উন্নয়নের পথে বড় হুমকি। ফিলিস্তিনে চলমান মানবিক দুর্ভোগ শুধু একটি অঞ্চলের বিষয় নয়, এটি মানবতার বিষয়।

তিনি বলেন, সংকটময় বিশ্বে যুদ্ধ ও সংঘাত মানুষের অধিকারকে খর্ব করে এবং অর্থনীতিকে ধ্বংস করে। টেকসই উন্নয়নের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা অপরিহার্য। ফিলিস্তিন থেকে শুরু করে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকটকে বিশ্ব যেন উপেক্ষা না করে।

তিনি বলেন, নারী ও তরুণদের ক্ষমতায়নের জন্য অর্থনৈতিক প্রবেশাধিকার, টেকসই উন্নয়ন ও সুশাসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সত্যিকার অর্থে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ে তুলতে হলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। তাদের কণ্ঠস্বরকে শ্রবণযোগ্য করতে হবে এবং তাদের পছন্দ ও সিদ্ধান্তের স্বাধীনতা দিতে হবে।

Nagad

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আর্থনা সামিটের মতো উদ্যোগ উদ্ভাবন, ঐতিহ্য এবং অংশীদারত্বের মাধ্যমে জলবায়ু সংকট, সামাজিক বৈষম্য এবং কাজের ভবিষ্যতের মতো জটিল সমস্যার সমাধান করতে পারে। সামাজিক ব্যবসার ভিত্তিতে (শূন্য বর্জ্য, শূন্য কার্বন এবং শূন্য ব্যক্তিগত মুনাফার ওপর ভিত্তি করে) একটি নতুন জীবনধারা তৈরি করতে হবে।

এর আগে কাতার পৌঁছালে অধ্যাপক ইউনূসকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানান কাতার সরকারের প্রটোকল প্রধান ও রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম ফাখরু।

প্রেস উইং সূত্রে জানা গেছে, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির আমন্ত্রণে তিনি এ সফরে গেছেন। সম্মেলনে অংশগ্রহণ ছাড়াও আমিরের সঙ্গে তার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।