আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা জবি শিক্ষার্থীদের
তিন দফা দাবিতে চলমান আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৪ মে) দিনগত রাত ১২টায় কাকরাইল মসজিদের সামনে আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন জবি শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসানসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা।


জবি ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, “দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার দায় সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাদের নিতে হবে।”
এর আগে, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিন দফা দাবিতে ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তবে দুপুর ১টার দিকে মৎস্য ভবন অতিক্রম করে কাকরাইল মসজিদের কাছে পৌঁছালে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তারা। এসময় পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ১০ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কাকরাইল মসজিদের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। বৃষ্টির মাঝেও তারা স্লোগান দিতে থাকেন—‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেবো রক্ত’।
আন্দোলনকারীদের তিন দফা দাবি:
১. আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে।
২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করে অনুমোদন করতে হবে।
৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে বাস্তবায়ন করতে হবে।