ডিএসসিসির নগর ভবনের সব গেটে তালা, অনুপস্থিত উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৪:১৩ অপরাহ্ণ, মে ১৫, ২০২৫

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনের সামনে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের অনুসারীরা। তারা দ্রুত ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। এ দাবিতে নগর ভবনের প্রতিটি প্রবেশদ্বারে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন তারা। এতে সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিসে ঢুকতে পারছেন না। নাগরিক সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষও ফিরে যাচ্ছেন।

এছাড়া নগর ভবনের ১২তলায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে। তালা দেওয়ার খবর পেয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া অফিসে যাননি। মন্ত্রণালয়ের অন্য কর্মকর্তারাও ভেতরে প্রবেশ করতে না পেরে নগর ভবনের নিচে সিঁড়ি ও গাছতলায় বসে রয়েছেন।

গত ২৭ মার্চ ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বৈধ মেয়র ঘোষণা করেন। এরপর ২৭ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন (ইসি) গেজেট প্রকাশ করে। তবে এখন পর্যন্ত তার শপথগ্রহণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল ৯টা থেকে নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা। ‘ঢাকার সাধারণ ভোটারদের আয়োজনে নগর ভবন অবরোধ’ শিরোনামে একটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে সেখানে জড়ো হন ইশরাকের অনুসারীরা।

মঞ্চে বক্তারা অভিযোগ করেন, ২০২০ সালের নির্বাচনে ইশরাক বিজয়ী হয়েছিলেন, কিন্তু ফল জালিয়াতির মাধ্যমে তাকে হারিয়ে দেওয়া হয়। এখন আদালতের রায়ে তিনি মেয়র পদ ফিরে পেলেও তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিচ্ছে না স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

ডিএসসিসির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সকাল ৯টার আগেই নগর ভবনের ফটকে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। এতে কেউই ভবনে প্রবেশ করতে পারেননি। অনেক কর্মকর্তা ভবনের বারান্দা ও গাছতলায় দাঁড়িয়ে বা বসে সময় কাটাচ্ছেন।

Nagad

লালবাগ থেকে মিছিল নিয়ে আসা ইশরাকের অনুসারী আলী হায়দার বলেন, যতদিন না ইশরাক হোসেনের শপথের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে, ততদিন তাদের কর্মসূচি চলবে।

এদিকে নগর ভবনে তালা দেওয়ার কারণে নাগরিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘তালা দেওয়ার বিষয়টি সকালে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা ও সচিবকে আন-অফিসিয়ালি জানানো হয়েছে। যাদের বাইরে কাজ আছে, তারা কাজ করছেন। তবে মূল ভবনে ঢুকতে না পারায় অনেক কর্মকর্তা ফিরে গেছেন।’