চারদিন ধরে বন্ধ জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, সেবা বঞ্চিত রোগীরা
জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে (এনআইও) টানা চারদিন ধরে চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজার রোগী সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। শুক্রবার (৩১ মে) পর্যন্ত হাসপাতালটি কার্যত অচল রয়েছে, বন্ধ রয়েছে প্রধান ফটক, কার্যক্রমে নেই চিকিৎসক-নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মূল গেট বন্ধ, বাইরে হতাশ হয়ে ফিরছেন রোগী ও স্বজনেরা। হাসপাতাল চত্বরে শুধু অবস্থান করছেন ‘জুলাই আন্দোলনে’ আহত কিছু সদস্য। রান্নার কাজে নিয়োজিত কয়েকজন ছাড়া সেখানে নেই কোনো হাসপাতাল স্টাফ।


চলমান অচলাবস্থার সূত্রপাত হয় গত ২৩ মে, জুলাই ফাউন্ডেশনের তিন সদস্যকে সেবা দেওয়াকে কেন্দ্র করে। এরপর ২৫ মে বিষপানের ঘটনা, ২৬ মে এক সদস্যের হারপিক পান, এবং ২৭ মে হাসপাতালের পরিচালককে অবরুদ্ধ ও চিকিৎসকদের হেনস্তা করার ঘটনায় উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। এর জেরে ২৮ মে চিকিৎসক ও স্টাফরা কর্মস্থলে নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেন।
হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, প্রতিদিন গড়ে পাঁচ হাজার রোগী সেবা নিয়ে থাকেন। অথচ চারদিনে প্রায় ২০ হাজার রোগী প্রয়োজনীয় চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
একজন রোগী ময়নুল খান বলেন, ‘ফলোআপের জন্য এসেছি। সেবা না পেয়ে অপেক্ষা করছি, জানি না কখন চালু হবে।’
হাসপাতালের পরিচালক খায়ের আহমেদ চৌধুরী বর্তমানে ছুটিতে আছেন। ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম সাংবাদিক পরিচয় জানার পর কল কেটে দেন, বিষয়টি নিয়ে আরও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
সংকট সমাধানে ব্যর্থতার দায় কার?
চিকিৎসকরা বলছেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত তারা হাসপাতালে ফিরে যাবেন না। অন্যদিকে রোগীরা বলছেন, “সরকারি হাসপাতাল যদি এভাবে বন্ধ থাকে, তাহলে আমরা কোথায় যাব?”
নিরাপত্তা, দায়িত্বহীনতা ও বারবার ব্যর্থ আলোচনার মধ্যে এ সংকট কবে কাটবে—তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় হাজারো ভোগান্তিপূর্ণ মুখ।