ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল
ইরানের রাজধানী তেহরানে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (১৩ জুন) চালানো এ সামরিক অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’। ইসরায়েল দাবি করেছে, ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে এই ‘পূর্বপরিকল্পিত প্রতিরোধমূলক হামলা’ চালানো হয়েছে।
তেহরানজুড়ে বিস্ফোরণের শব্দ
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, তেহরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইরানি সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্যে বলা হয়েছে, রাজধানীজুড়ে অন্তত ৬ থেকে ৯টি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। হামলার পর আতঙ্কে রাস্তায় নেমে আসে স্থানীয় বাসিন্দারা।


ইসরায়েলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্তজ জানান, “ইরানে আমাদের পক্ষ থেকে একটি আগাম প্রতিরোধমূলক অভিযান চালানো হয়েছে।” হামলার পর ইসরায়েলে ‘বিশেষ জরুরি অবস্থা’ জারি করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়, “এটি ছিল সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক একটি যৌথ অভিযান। আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি এবং সামরিক স্থাপনাসমূহ।”
নেতানিয়াহুর হুমকি: অভিযান চলবে
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, “আমরা ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ শুরু করেছি। ইরানের হুমকি প্রতিহত না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইরনা জানিয়েছে, রাজধানীর আবাসিক এলাকাতেও হামলা চালানো হয়েছে। রয়টার্স জানিয়েছে, এতে শিশুদেরও হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। হতাহতের সংখ্যা এখনো নিশ্চিত নয়।