বিপিও সামিট ২০২৫: প্রযুক্তি ও অংশীদারত্বে রপ্তানি খাতের নতুন দিগন্ত
ঢাকার সেনাপ্রাঙ্গণে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দেশের সবচেয়ে বড় আউটসোর্সিং সম্মেলন ‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০২৫’। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ কন্ট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো)-এর আয়োজনে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজনেস প্রোমোশন কাউন্সিলের সহযোগিতায় আয়োজিত এ সামিট ছিল বিপিও ও আইটিইএস খাতকে আন্তর্জাতিক বাজারে আরও বিস্তৃত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ।
২০১৫ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনের এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘BPO 2.0: Revolution to Innovation’—যা প্রযুক্তিনির্ভর উদ্ভাবন ও রপ্তানি সক্ষমতাকে সামনে নিয়ে এসেছে।


সামিটে দেশি ও বিদেশি ৩০টিরও বেশি আইটিইএস/বিপিও প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। আয়োজন করা হয় নয়টি থিমভিত্তিক সেমিনার ও কর্মশালা, যেখানে অংশ নেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ, কর্পোরেট ব্যক্তিত্ব, সরকারি কর্মকর্তা ও তরুণ উদ্যোক্তারা।
আলোচনায় উঠে আসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সাইবার নিরাপত্তা, স্কিল ডেভেলপমেন্ট, ফিউচার জবস এবং তথ্যপ্রযুক্তি নীতিমালার আধুনিকীকরণ।
সবচেয়ে আলোচিত সেমিনার ছিল ‘Global Partnerships & the Future of Outsourcing: Challenges and Opportunities’, যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবিদ ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বিপিও খাত এখন শুধু সম্ভাবনা নয়, বাস্তব রপ্তানি সক্ষমতার জায়গায় পৌঁছেছে। এখন সময় আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব ও নীতিনির্ভর দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির।’
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক প্রতিনিধি ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা। তারা বাংলাদেশের বিপিও খাতে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরির জন্য আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সিস্টেম সহজীকরণ ও উদ্ভাবনভিত্তিক নীতি গ্রহণের পরামর্শ দেন।
আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীদের মতে, ‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০২৫’ শুধুমাত্র একটি প্রযুক্তি সম্মেলন নয়, বরং এটি ছিল রপ্তানিমুখী আউটসোর্সিং খাতকে প্রতিষ্ঠা করার একটি কৌশলগত পদক্ষেপ।
আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব, উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ও দক্ষ মানবসম্পদের সমন্বয়ে এই খাত আগামী দশকে দেশের অন্যতম রপ্তানি চালিকাশক্তি হয়ে উঠবে-এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।