যৌন হয়রানিসহ নানা অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে অপসারণ
যৌন হয়রানি, সমকামিতা, শিক্ষার্থী হেনস্তাসহ একাধিক গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মনজুরুল হকের সই করা এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।


অফিস আদেশে বলা হয়, পূর্ববর্তী দুই দফা তদন্তের সুপারিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও শৃঙ্খলার স্বার্থে ৩১ মে থেকে হাফিজুল ইসলামকে চাকরি হতে অপসারণ করা হয়েছে।
এর আগে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২৭ দফা অভিযোগ তোলে শিক্ষার্থীরা। অভিযোগগুলোর মধ্যে ছিল যৌন হয়রানি, সমকামিতা, আপত্তিকর মন্তব্য, ফল টেম্পারিং, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনসহ নানা অনিয়ম। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা টানা আন্দোলন চালায় এবং কুশপুতুল দাহসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন।
প্রথমে গত ডিসেম্বর মাসে তাকে এক বছরের বাধ্যতামূলক ছুটি ও একটি ইনক্রিমেন্ট বাতিল করা হলেও পরে শিক্ষার্থীদের দাবি ও পরবর্তী তদন্তের ভিত্তিতে চূড়ান্তভাবে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তকে ‘দীর্ঘদিনের আন্দোলনের সফলতা’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, ‘হাফিজুল ইসলামের অপসারণ যৌক্তিক দাবির প্রতিফলন। তবে ক্যাম্পাসে এখনও এমন আরও অনেক শিক্ষক রয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।’
অপসারণ প্রসঙ্গে হাফিজুল ইসলামের মন্তব্য জানতে তাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।