Print

সারাদিন

সরকার চেষ্টা করছে একটি মানুষও যাতে খাদ্যের কষ্ট না করে : কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৬:৫৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেশের একটি মানুষও যাতে খাদ্যের কষ্ট না করে, সেলক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সংকটের কারণে দ্রব্যমূল্যের দাম কিছুটা বেশি হওয়ায় সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট হচ্ছে। এ কষ্ট লাঘবের জন্য সরকার গরীব ও সীমিত আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি পরিবারকে কমমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দেয়া হচ্ছে, ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজিতে চাল, ওএমএসে ৩০ টাকা কেজিতে চাল বিক্রি করা হচ্ছে। এর ফলে চালসহ বিভিন্ন জিনিসের দাম কমা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে সীমিত আয়ের শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট কিছুটা কমছে।

আজ মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই কৃষি উন্নয়ন শীর্ষক সেমিনারের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতি তাদের ১৭তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

মন্ত্রী বলেন, ২০০১-০৬ সালে বিএনপির সময় দেশের উত্তরাঞ্চলে আশ্বিন-কার্তিক মাসে প্রতিদিন ২-৫ জন মানুষ না খেয়ে মারা গেছে। আর আওয়ামী লীগের আমলে গত ১৩ বছরে একটি মানুষও না খেয়ে মারা যায় নি।

তিনি বলেন, দেশে এখনও ২০% মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করে। এসব মানুষের অনেকের এখনও খাদ্যের কষ্ট আছে। প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় খাবারটুকু এখনো তারা পাচ্ছে না। এছাড়া, সীমিত আয় দিয়ে প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবারও তারা কিনতে পারে না।

মন্ত্রী আরও বলেন, দেশের অর্থনীতি ভাল অবস্থানে আছে, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার সাধ্যমত চেষ্টা করছে।

Nagad
Nagad

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসানের সভাপতিত্বে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, সমিতির মহাসচিব অধ্যাপক মিজানুল হক কাজল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। দুইদিন ব্যাপী সেমিনারের সারমর্ম উপস্থাপন করেন অধ্যাপক মিহির কুমার রায় ও অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম।