Print

সারাদিন

ইবি উপাচার্যের কার্যালয়ে ঢুকে হামলা-ভাঙচুর

প্রকাশিত: ৭:৪৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২

কুষ্টিয়া সংবাদদাতা

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছেন দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কাজ করা কর্মচারীরা। শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, অস্থায়ী চাকরিজীবী পরিষদের সভাপতি টিটো মিজান ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল জোয়ার্দারসহ ১৫-২০ জন কর্মচারী দুপুরে উপাচার্যের একান্ত সচিব (পিএস) আইয়ুব আলীর কক্ষে যান। কোনো কথাবার্তা ছাড়াই অফিসের ডেস্কসহ বিভিন্ন কিছু ভাঙচুর করেন তারা। এছাড়া ফাইলপত্র ছুড়ে ফেলেন। এ সময় আইয়ুব আলীকে মারধরের চেষ্টা করলে তাদের মধ্যে একজন তাকে জাড়িয়ে রাখেন। পরে আইয়ুব আলী রেজিস্ট্রারের দপ্তরে গিয়ে আশ্রয় নেন।

অফিসে ভাঙচুর করে পরে প্রশাসন ভবনের নিচে এসে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন কর্মচারীরা। তাদের ফাইল চালু ও স্থায়ী নিয়োগের বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো নিয়োগ বোর্ড হতে দিবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন।

বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল হক ও সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হাসান মুকুট। তারা এই ঘটনার বিচার দাবি করেন। তারা বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অফিস ভাঙচুর করে চলে যাবে। এটা কোনও ছোট বিষয় নয়। আমরা উপাচার্যের কাছে জোরালোভাবে বলবো ঘটনার যেন সুষ্ঠু বিচার করা হয়।

উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী ও উপরেজিস্ট্রার আইয়ুব আলী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের প্রাক্তন কয়েকজন নেতা–কর্মীসহ বহিরাগতরা এ হামলা চালিয়েছে। ঘটনার সময় উপাচার্য আবদুস সালাম তাঁর বাসভবনে ছিলেন।

ইবি উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আইয়ুব আলী বলেন, আমি অফিসে কাজ করছিলাম। হঠাৎ করেই তারা এসে ফাইল প্রসেসিং নিয়ে জিজ্ঞাসা করে। আমি কথা বলার আগেই ভাঙচুর শুরু করে। আমাকে মারধরেরও চেষ্টা করে।

Nagad
Nagad

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম গণমাধ্যমকে বলেন, এটা কোনও সাধারণ ইস্যু না। আমি সবার সাথে কথা বলেছি। যারা এর সাথে জড়িত কোনোভাবে ছাড় দেওয়া হবে না।

সারাদিন/১৮ সেপ্টেম্বর/এমবি